• রানাঘাটে গৃহস্থ বাড়ির দোতলায় বিধ্বংসী আগুন
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: রানাঘাটের আনুলিয়ায় গৃহস্থের বাড়িতে বিধ্বংসী আগুনে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হল। কয়েকলক্ষ টাকার আসবাবপত্র, টিভি, জামাকাপড় পুড়ে ছাই হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ এঘটনা ঘটে। পরিবারের লোকজন কোনওমতে প্রাণে বাঁচেন। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছে প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    দমকল জানিয়েছে, রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের ঠিক পিছনেই একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এদিন ওই বাড়ির দোতলার একটি ঘরে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। সেসময় বাড়ির নীচে নিজেদের দোকান বন্ধ করে দোতলায় উঠছিলেন রুনা চট্টোপাধ্যায়। সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে দেওয়ালে হাত দিয়ে তিনি দেখেন, দেওয়াল অস্বাভাবিকরকম গরম হয়ে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি দোতলায় উঠে দেখতে পান, শোওয়ার ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আতঙ্কে তিনি সেখানে দাঁড়িয়েই চেঁচামেচি শুরু করে দেন। আওয়াজ শুনে পরিবারের বাকি সদস্য ও পড়শিরা ছুটে আসেন। পাশের বাথরুম থেকে বালতি বালতি জল এনে ঘরে ছেটাতে থাকেন। কিন্তু ঘরে জামাকাপড় সহ প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন বিধ্বংসী রূপ নেয়। এরপরই দমকলে খবর দেওয়া হয়।

    আধঘণ্টার মধ্যে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুন এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল যে, একসময় বদ্ধ জায়গায় প্রচণ্ড তাপ ও ধোঁয়ায় দমকলকর্মীরা অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। তবে প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।রুনাদেবী বলেন, দোতলায় ওঠার সময় দেওয়ালে হাত দিয়েই বিষয়টা বুঝতে পারি। পড়শিদের সহযোগিতায় যতটা সম্ভব জামাকাপড় বের করেছি। কিন্তু আগুনে একটি খাট, আলমারি, টিভি, টেবিল, এসি ছাই হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে পাঁচ-ছয় লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোনওমতে আমরা প্রাণে বেঁচেছি। কারণ ওই ঘরে সবসময় বাড়ির কেউ না কেউ থাকে।

    প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। এসি থেকেও শর্ট সার্কিট হয়ে থাকতে পারে। দমকল আধিকারিকরা আগুন লাগার কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। যদিও পরিবারের সদস্যদের দাবি, ঘটনার সময় এসি বন্ধই ছিল। কীভাবে আগুন লাগল, সেবিষয়ে তাঁরা ধোঁয়াশায় রয়েছেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)