• এলাকা জলমগ্ন, যাতায়াতে নৌকাই এখন ভরসা ভূতনি থানার পুলিসের
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: কাজে আসছে না গাড়ি। তাই একদা তুলে রাখা তথা অচল নৌকাই এখন ভরসা পুলিসের। নৌকাতে চেপেই এলাকায় টহলদারি চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করছেন পুলিস কর্মীরা। কখনও আবার পুলিস কর্মীরা এক বুক জল ভেঙে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করছেন। এমনই চিত্র মালদহের ভূতনি থানার। কারণ, বন্যা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে গোটা ভূতনি এলাকা জলমগ্ন। সেইসঙ্গে থানা চত্বরেও জল রয়েছে। তাই অগত্যা গাড়ির পরিবর্তে নৌকাই ভরসা পুলিস কর্মীদের।

    ভূতনিতে বাঁধ ভেঙে তৈরি হয় বন্যা পরিস্থিতি। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দুই লক্ষ বাসিন্দা জলবন্দি। বাসিন্দাদের পাশাপাশি জলবন্দি ভূতনি থানার পুলিস আধিকারিকরাও। ভূতনি থানা চত্বর থেকে শুরু করে একতলা ভবন, থানার গারদ, ওসি রুম পুরোপুরি জলমগ্ন। থানার গাড়িগুলিকে ভূতনি ব্রিজের উপর রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং বাসিন্দাদের সাহায্য করতে থানাতেই রয়েছেন পুলিস কর্তারা। খোসবরটোলায় করা হয়েছে একটি অস্থায়ী শিবির। নজরদারির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে নৌকা। থানার বাইরে গাড়ির বদলে সবসময় দাঁড়িয়ে রয়েছে নৌকা। নৌকার মাধ্যমেই চলছে যাতায়াত। 

    ভূতনি থানার এএসআই মনিরুজ্জামান বলেন, যেকোনও পরিস্থিতি হোক না কেন আমরা পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর। নৌকার মাধ্যমে যাতায়াত করছি। তবে জলে পেরিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে জল যেভাবে কমছে তাতে খুব দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।

    অন্যদিকে দক্ষিণ চণ্ডীপুরে বাঁধ কাটার পর থেকে প্রতিনিয়ত জল বের হচ্ছে। নামতে শুরু করেছে জলস্তর। তবে বিচ্ছিন্ন হয়েছে সড়কপথে ভূতনির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে যোগাযোগের জন্য অস্থায়ী বাঁশের সেতু ও সরকারি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেতু পেরোতেও টাকা এবং বেসরকারি নৌকায় বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)