• ডেঙ্গু আক্রান্তের বাড়ির পাশে জমা জলে মিলল মশার লার্ভা
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ডেঙ্গু আক্রান্তের বাড়ির পাশেই জমে রয়েছে জল। দু’পা এগলেই জঙ্গল। এখানে সেখানে পরিত্যক্ত পাত্রে জল জমা। তাতে কিলবিল করছে মশার লার্ভা। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সানুপাড়ায় পরিদর্শনে এসে এই দৃশ্য দেখে চটলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রীতম বসু। 

    কেন এমন অবস্থা? বিএমওএইচের প্রশ্নের উত্তরে সঙ্গে থাকা আশাকর্মীরা বলেন, বারবার জমা জল বের করতে বলা হয়েছে। কিন্তু, বাড়ির মালিক গ্রাহ্য করেন না। আশাকর্মীদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে বিএমওএইচ নিজে বাড়ির মালিককে সতর্ক করেন। জঙ্গল পরিষ্কার করার পাশাপাশি তাঁর বাড়ির চত্বরে কোথাও যাতে জল জমে না থাকে, সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলেন। কিন্তু, সবটা শোনার পরও বাড়ির মালিক নির্লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। 

    বিষয়টি নিয়ে দৃশ্যত ক্ষুব্ধ সদর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি বলেন, এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন একজন। তারপরও কয়েকটি বাড়িতে দেখা যাচ্ছে, পরিত্যক্ত পাত্রে জল জমে রয়েছে। ফাঁকা জমিতেও জমা রয়েছে জল। জঙ্গলও রয়েছে। এদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। একটি বাড়ির মালিক আমাদের অসহযোগিতা করেছেন। তাঁর বাড়ির জমা জলে মশার লার্ভাও পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানো হবে। তারা পদক্ষেপ না নিলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে। 

    এদিন স্বাস্থ্যকর্মীরা সানুপাড়ায় বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন চালিয়ে বেশকিছু পরিত্যক্ত পাত্রে জমা জল ফেলে দেন। মশার লার্ভা মারার ওষুধ স্প্রে করেন। একেবারে শহর লাগোয়া সানুপাড়ায় ডেঙ্গু থাবা বসানোয় চিন্তা বাড়ছে পুরসভা এলাকার বাসিন্দাদেরও। 

    সানুপাড়ার পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসের গণেশ ঘোষের অবশ্য দাবি, জমা জল পরিষ্কার এবং জঙ্গল সাফাইয়ের জন্য পঞ্চায়েতের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাওয়া যায়নি। খড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের মনোজ ঘোষ বলেন, সানুপাড়ায় ডেঙ্গু আক্রান্তের বাড়ির পাশে যে জমা জলের কথা বলা হচ্ছে, তা বৃষ্টির জল। ওখানে কিছু জঙ্গলও আছে। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকায় জঙ্গল সাফাই সম্ভব হচ্ছে না। তবে পুজোর আগে ওই কাজ করার ইচ্ছে আছে। 

    সদরের বিএমওএইচ বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমরা সতর্ক। জুলাইয়ের থেকে আগস্টে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। তবে এখনও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অনেক জায়গায় জল জমে যাচ্ছে। তাছাড়া পুজোর আগে পরিযায়ী শ্রমিকরাও বাড়ি ফেরেন। বাইরে থেকেও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আসার ঘটনা ঘটতে পারে।  নিজস্ব চিত্র। 
  • Link to this news (বর্তমান)