• কল্যাণী মেডিক্যালে জরুরি বিভাগের পরিষেবা বন্ধ করলেন জুনিয়ররা ডাক্তাররা, অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কল্যাণী: আর জি কর কাণ্ডের জেরে কলকাতা শহরের সরকারি হাসপাতালগুলিতে জরুরি বিভাগেও পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে জেলাগুলিতে তা চালু রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলের পর কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দিলেন তাঁরা। সেখানে সিনিয়র চিকিৎসকরা কোনওরকমে পরিষেবা দিচ্ছেন। মূল জরুরি বিভাগে চারজন এবং পেডিয়াট্রিক ও গাইনোর জরুরি বিভাগে আরও একজন করে সিনিয়র ডাক্তার রয়েছেন। আপাতত এই মোট ছ’জন সিনিয়র ডাক্তারের উপর ভরসা করে চলছে হাসপাতালের গোটা জরুরি বিভাগ। এই অবস্থায় আজ, বুধবার এই হাসপাতালের ওই বিভাগের পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, সেই নিয়ে চিন্তায় পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।    

    পাশাপাশি, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সহ একাধিক দাবিতে এদিন অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, সিসি ক্যামেরা এবং নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বৃদ্ধি। এছাড়াও তাঁদের জন্য বিশ্রামাগার, শৌচালয়, আলোর অভাব রয়েছে হাসপাতালে। দীর্ঘদিন ধরে বলা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ নজর দিচ্ছে না এদিকে। তাই তাঁরা এদিন অধ্যক্ষের ঘরে বিক্ষোভে বসেন। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না সহ উপাচার্য বা স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আধিকারিক কলেজে এসে তাঁদের দাবি বিবেচনা করছেন, ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে। এই বিষয়ে অধ্যক্ষ চিকিৎসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ওঁদের দাবি আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছি। সেখান থেকে কোনও নির্দেশ না এলে আমার কিছু করার নেই। এখনও তারা কোনও নির্দেশ দেয়নি। শেষ পাওয়া খবরে, এদিন রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।

    অন্যদিকে, এদিন আন্দোলন মঞ্চের পাশেই ক্লিনিক খুলে রোগী দেখাও শুরু করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নাম দেওয়া হয়েছে তিলোত্তমা ক্লিনিক। সেই ক্লিনিকে বসেই সমস্ত ইন্টার্ন, পিজিটিরা একত্রে বহির্বিভাগের সময়ে রোগী দেখা শুরু করলেন। রোগী দেখার পর প্রেসক্রিপশনে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে একটি স্ট্যাম্পও দিয়ে দেন তাঁরা। এই বিষয়ে ওই মেডিক্যাল কলেজের একজন ইন্টার্ন আলিম বিশ্বাস বলেন, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রোগীদের পরিষেবা দিতে এই ক্লিনিক চালু হয়েছে। প্রকৃত দোষীদের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
  • Link to this news (বর্তমান)