• দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থ বরাদ্দ রাজ্য পঞ্চম অর্থ কমিশনের, বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও গ্রামে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে রাজ্য সরকার একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। সেই লক্ষ্যেই রাজ্য পঞ্চম অর্থ কমিশন দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকার অনুমোদন দেওয়ার কাজ শুরু করল সোমবার। দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা দ্রুত দেওয়া হবে বলে নবান্নের তরফে একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে সব জেলাকে। আগামী সপ্তাহেই সেই টাকা বরাদ্দ হবে বলে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। আর এই বিজ্ঞপ্তি হাতে পেয়েই আগামী দিনে কাজের পরিকল্পনা তৈরি করে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলাগুলি।

    বাংলার মধ্যে বড়ো জেলা বলে পরিচিত উত্তর ২৪ পরগনা। ১৯৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ২২টি ব্লক রয়েছে এই জেলায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশনের প্রথম পর্যায়ের টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। প্রথম দফায় তখন পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের জন্য মোট ২১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। আর গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য ৩১ কোটি টাকা করে বরাদ্দ হয়। অর্থাৎ মোট বরাদ্দ হয় প্রায় ৫২ কোটি ১৭ লক্ষের মতো টাকা। সরকারি নিয়ম মেনে দুটি পর্যায়ে এই টাকা খরচ করা যায়। একটি ‘টায়েড ফান্ড’, আর অন্যটি ‘আনটায়েড ফান্ড’ হিসেবে। টায়েড ফান্ডের আওতায় থাকছে পর্যটনের উন্নয়ন, বায়ো ডাইভারসিটি পার্ক, মার্কেট শেড, গ্রামীণ হাটের উন্নয়ন, ফেরিঘাটের সংস্কার, শিল্পীদের জন্য আবাসন, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ। পাশাপাশি এই জেলার ক্ষেত্রে সেচের কাজেও টায়েড ফান্ডের টাকা ব্যয় হয়। অন্যদিকে আনটায়েড ফান্ডে প্রশাসন নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করে।

    এখনও পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় কমিশনের প্রাপ্ত টাকায় ৬১ শতাংশ কাজ হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, দু’টি পর্যায়ে টাকা আসে। প্রথম পর্যায়ে তিনটি স্তর মিলিয়ে পাওয়া টাকার ৬১ শতাংশ ইতিমধ্যে খরচ হয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুসারে প্রথম পর্যায়ের প্রাপ্ত টাকার ৬০ শতাংশ ব্যয় হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের বাকি টাকা আসবে। সেই মতো আমরা কাজ করেছি। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকায় কী কী করা হবে, সেই পরিকল্পনাও আমাদের করা হয়ে গিয়েছে। তবে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে, টাকা খরচের হার যে সমস্ত এলাকায় কম, সেই এলাকায় বাড়তি নজর দিতে হবে। সেই মতো আমরা কাজ করছি। ভোটের বিধির কারণে প্রথম পর্যায়ের টাকা খরচ করতে সমস্যা হয়েছে। তাই টাকা খরচের হার কিছুটা হলেও কম। দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা এলে আমরা জোরকদমে কাজ শুরু করব। রাজ্যের মধ্যে ভালো ফল করার টার্গেট আছে আমাদের।
  • Link to this news (বর্তমান)