• ৩৫টির মধ্যে ১০টি ‘ব্ল্যাক স্পটে’ দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি তুলনায় বেশি, উদ্বিগ্ন প্রশাসন
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দুর্ঘটনা প্রবণতার নিরিখে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রায় ৩৫টি ‘ব্ল্যাক স্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে ১০টি এমন জায়গা রয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি অন্যান্য ‘ব্ল্যাক স্পট’-এর তুলনায় বেশি। ডায়মন্ডহারবারে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক, বারুইপুর-কুলপি রোডের একাংশ, বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে সহ এমন একাধিক রাস্তাকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে বলে জেলা পরিবহণ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। তাই দুর্ঘটনা কমাতে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা এই রাস্তাগুলি পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট আকারে তা জমা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

    সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, একটি সড়কের যে কোনও ৫০০ মিটার অংশে গত তিন বছরে পাঁচটি দুর্ঘটনা এবং তাতে মৃত্যু বা গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটলে অথবা গত তিন বছরে দুর্ঘটনায় ১০ জনের প্রাণহানি ঘটলে ওই অংশকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ডায়মন্ডহারবারে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে বুনরহাট মোড় থেকে মোহনপুর হাইস্কুল হয়ে কলাগাছি পর্যন্ত রাস্তা এই তালিকায় আছে। এখানে গত এক বছরে ১৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। বারুইপুর-কুলপি রোডে বারুইপুর হাইস্কুল এবং কীর্তনখোলা শ্মশান এলাকায় ১০টি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন সাতজন। জয়নগর থানার ঢিবিরমোড় ও বনগাঁ-কুলপি রোডে গত বছরে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। হারউড কোস্টাল থানা এলাকার সুন্দরবন বিএড কলেজের সামনে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে চারটির মধ্যে তিনটি ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয়েছে। 

    এছাড়াও ‘ব্ল্যাক স্পট’-এর তালিকায় মালঞ্চ বাজার ও দক্ষিণ গোবিন্দপুর, কাকদ্বীপের পুকুরবেড়িয়া বাসস্ট্যান্ড, উস্তি ও বিষ্ণুপুর থানার সংযোগস্থল, গঙ্গারামপুরও রয়েছে।

    জেলা পরিবহণ বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, এসব রাস্তায় চালকরা যাতে বাড়তি সতর্ক থাকেন, সেই আবেদন করা হচ্ছে। পূর্ত, পরিবহণ সহ বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরা রাস্তাগুলি ঘুরে দেখবেন। কোথায় কী খামতি আছে, তা চিহ্নিত করে কী করলে ভালো হবে, সেই পরামর্শ রিপোর্ট আকারে জমা দেবেন তাঁরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)