• সরবরাহ বাড়াতে টালা ট্যাঙ্ক থেকে নয়া পাইপলাইন
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: টালা ব্রিজের পাশে তৈরি হয়েছে ‘ডাবল ডেকার’ ট্রেসল ব্রিজ। তার উপর বসেছে প্রায় ১২০০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন। সেই পাইপের মাধ্যমে টালা থেকে শহরের বিভিন্ন অংশে আরও বেশি পরিমাণে জল সরবরাহ সম্ভব হবে। আগামী দিনে আরও একটি একই সাইজের পাইপ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার। দ্বিতল হওয়ায় ট্রেসল ব্রিজে সেই ব্যবস্থাও রয়েছে। বর্তমানে টালা সেতুর নীচে পাইপলাইন সংযোগের কাজ চলছে। এই লাইন চালু হলে উত্তর, মধ্য, পূর্ব কলকাতায় জল সরবরাহ বাড়বে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।

    পুরসভার পানীয় জল সরবরাহ বিভাগ সূত্রে খবর, টালা থেকে ওই পাইপলাইন গ্যালিফ স্ট্রিটে বড় ভালভ স্টেশন পর্যন্ত বিস্তৃত। আগে এই জায়গায় ৭৫০ ইঞ্চি ব্যাসের দু’টি পাইপ ছিল। নতুন টালা ব্রিজ তৈরির সময় দু’টি পাইপলাইনই বন্ধ করে দিতে হয়। বিকল্প উপায়ে শহরের বিভিন্ন অংশে পানীয় জলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছিল। বিভাগীয় এক কর্তার কথায়, ‘পূর্তদপ্তরকে আমরা এই ট্রেসল ব্রিজ তৈরি করে দেওয়ার আবেদন করি। তারাই এই ডাবল ডেকার বা দ্বিতল ব্রিজ বানিয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যে একটি পাইপ বসেছে। সেটি টালা জল প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তও করা হয়েছে। এখন ট্রেসল ব্রিজ থেকে টালা ব্রিজের তলার পাইপলাইন সংযুক্তির কাজ চলছে।’ 

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে পলতা জল প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা ২০ মিলিয়ন গ্যালন বাড়ানো হয়েছে। সেই জল এখন পাইপলাইনের মাধ্যমে টালা জলাধারে পৌঁছেও যাচ্ছে। তবে ওই বাড়তি জলের সুবিধা শহরবাসীকে পাইয়ে দিতে গেলে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা দরকার। পুরসভার ১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা বলেন, ‘টালা ব্রিজের তলায় মাটির নীচ দিয়ে কেবল, ইন্টারনেট সহ একাধিক পরিষেবার লাইন গিয়েছে। তাই সেখান দিয়ে নতুন করে কোনও জলের পাইপ নিয়ে যাওয়া কার্যত সম্ভব নয়। তাই, এই ট্রেসল ব্রিজ দিয়ে নতুন পাইপ বসানো হয়েছে। উত্তর এবং মধ্য কলকাতার কিছু অঞ্চলে জলের জোগান বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছে পুরসভা। কলকাতা শহরের জনসংখ্যাও বেড়ে চলেছে। সবাইকেই পরিস্রুত পানীয় জল দিতে চায় পুরসভা। তাই টালা ট্যাঙ্ক থেকে শহরে পানীয় জলের সরবরাহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। পুর-কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, টালা ট্যাঙ্কে জলের জোগান পর্যাপ্ত আছে। কিন্তু তা সরবরাহের পরিকাঠামো না থাকায় সেই জল মানুষের কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কাশীপুর, দমদম সহ কিছু এলাকায় জলের চাপ কম বলে অভিযোগ রয়েছে। নয়া পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ শুরু হলে এই ধরনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে বলে আশাবাদী পুরকর্তারা।
  • Link to this news (বর্তমান)