• অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ডিম পরিষেবা বন্ধ, খিচুড়িতে নেই সবজি, মুর্শিদাবাদে বিক্ষোভ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার নিয়ে উঠে গেল অভিযোগ। শিশুদের যে খাবার দেওয়া হচ্ছে সেখানে থাকছে না ডিম। খিচুড়িতেও সবজি অমিল। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। কেন শিশুরা ডিম পাচ্ছে না?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিভাবকরা। শিশুরা পুষ্টি পাচ্ছে না এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দৌলতে বলে অভিযোগ তোলা হয়। যে খিচুড়ি সবজি দিয়ে বানানোর কথা সেটা এমনি দেওয়া হচ্ছে। ফলে একদিকে সবজির পুষ্টি অপরদিকে ডিমের পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশরা বলে অভিযোগ।

    এদিকে অভিভাবকদের অভিযোগ, পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার পরিবর্তে পড়ুয়াদের অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। কোনওরকম সবজি ছাড়াই খিচুড়ি রান্না করা হয়। আর খিচুড়ির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য জল মিশিয়ে দেওয়া হয়। মাঝেমধ্যেই ডিম দেওয়া হয় না। এখন তো নিয়মিত শিশুদের পাতে ডিম দেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয়ে অভিভাবক জেসমিনা বেগম বলেন, ‘‌বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হচ্ছে না। চালে পোকা, সবজি নেই, ডিম দেওয়া হয় না। আমরা চাই এই সেন্টার হয় ঠিকভাবে চালানো হোক, না হয় এই সেন্টার তালাবন্ধ রাখা হোক।’‌

    অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া ব্লকের প্রায় ৩০০টির বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। এই কেন্দ্রগুলিতে বন্ধ রয়েছে ডিম পরিষেবা। আর ডিম না পেয়ে খাবার ইচ্ছে চলে গিয়েছে শিশুদের। সবজি ছাড়া খিচুড়ি খেতে তাদের ভাল লাগছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু শিশু পড়ুয়াদের সঙ্গে কেন এমন করা হচ্ছে?‌ উঠছে প্রশ্ন। এবার পাল্টা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অভিযোগ, তিন মাস ধরে টাকা তাঁদেরকে দেওয়া হয়নি। তার জেরেই খিচুড়িতে সবজি এবং ডিম না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এমন মারাত্মক অভিযোগ আসবে কেউ ভাবেননি।

    এছাড়া শিশু পড়ুয়ারা এই খবর দিয়েছে তাদের অভিভাবকদের। এখন এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। গত সোমবার থেকে বন্ধ রয়েছে আইসিডিএস সেন্টারে ডিম এবং খিচুড়িতে সবজি দেওয়া বলে অভিযোগ। আজ বুধবারও সেই একই ছবি দেখা দিয়েছে। শিশুরা ডিমের পুষ্টি পাচ্ছে না বলে ক্ষোভ উগরে দেন অভিভাবকরা। এই বিষয়ে আইসিডিএস কর্মী ফুলকুমারী বলেন, ‘‌তিন মাস থেকে আমাদের টাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আমরা টাকা না পেলে কেমন করে বাচ্চাদের ডিম দেব।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)