• আরজি করে ‘কড়া’ CISF-কে অসহযোগিতা করছে রাজ্য! সুপ্রিম কোর্টে গেল কেন্দ্র
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আদালতের নির্দেশেই সিআইএসএফকে আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মূলত আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে আরজি করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ভাঙচুরও হয়েছিল আরজি করে। তারপরই সিআইএসএফকে সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভারতের অন্যতম দক্ষ ফোর্স বলে মনে করা হয় সিআইএসএফকে। বিমানবন্দরে যারা অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে থাকেন তাঁরাই এখন আরজি করে। আর সেই এলিট ফোর্সকেই অসহযোগিতা করার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে। 

    তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটা প্রত্যাশিতই ছিল রাজ্যের কাছে। আরজি করে চিকিৎসক খুন, আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনার পরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন ওঠে। তারপর আরজি করের সুরক্ষার দায়িত্ব যায় সিআইএসএফের উপর। আর তাতে অস্বস্তি আরও বাড়ে রাজ্য সরকারের। এরপরই সিআইএসএফের সঙ্গে রাজ্য সরকার অসহযোগিতা শুরু করে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এনিয়ে অভিযোগ তুলেছে। মঙ্গলবার এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি কাজ করতে গিয়ে বার বার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। মূলত চরম অসহযোগিতা। সিআইএসএফের কর্তব্যরত জওয়ান ও আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না রাজ্যের তরফে, এমনটাই অভিযোগ কেন্দ্রের। কারণ নিয়ম অনুসারে যে সংস্থায় প্রহরার দায়িত্বে থাকে সিআইএসএফ সেই কর্তৃপক্ষই তাঁদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে চরম অসহযোগিতার অভিযোগ। 

    প্রথমত সিআইএসএফের জন্য প্রয়োজনীয় বাসস্থানের ব্যবস্থা করেনি রাজ্য সরকার। কলকাতার উপকণ্ঠে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। সেখান থেকে যাতায়াতের নানা সমস্যা। হাসপাতালে ডিউটিতে আসতেই অনেকটা সময় কেটে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তাঁদের দরকার পড়লে কীভাবে তাঁরা আসবেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। 

    কেন্দ্রের তরফে আবেদন করা হয়েছে সিআইএসএফকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যকে। এনিয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দিষ্ট নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অন্যদিকে রাজ্য সরকার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে সেই নির্দেশ না মানে তবে রাজ্যের বিরুদ্ধে যেন আদালত অবমাননার মামলা করা হয় সেটাও বলা হয়েছে। 

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সিআইএসএফ পাহারায় বসার পর থেকেই হাসপাতালের গোটা চিত্রটাই বদলে যেতে শুরু করেছে। যখন খুশি দালালরা হাসপাতালের ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই ছবি বদলে গিয়েছে। সিসি ক্যামেরায় ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশের ঢিলেঢালা নজরদারির বিষয়গুলি ক্রমেই সামনে আসছে। আর তাতেই অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্য সরকারের। তবে কি সেকারণেই সিআইএসএফকে বিপাকে ফেলতে এত তৎপর রাজ্য সরকার? 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)