ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ভাইরাল হয়েছিল ‘হুমকি’ অডিও। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, ৯ আগস্ট সকালে নাকি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এমনকী, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেও চলত তাঁর ‘দাদাগিরি’, ‘থ্রেট কালচার’। একের পর এক বিতর্কে নাম জড়ানো চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এবার পদক্ষেপ করল স্বাস্থ্যদপ্তর। অবশেষে বদলি করা হল তাঁকে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সরিয়ে বিরূপাক্ষকে পাঠানো হল কাকদ্বীপে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের নোটিসে জানানো হয়েছে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে বদলি করা হয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট পদে যোগ দেবেন তিনি।
উল্লেখ্য, বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন এই চিকিৎসক। তৃণমূল নির্মল মাজি ঘনিষ্ঠ হিসেবেই চিকিৎসক মহলে পরিচিত তিনি। অভিযোগ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে রীতিমতো ‘দাদাগিরি’ চালাতেন তিনি। সম্প্রতি এক অডিও ভাইরাল হয়। যেখানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে ইন্টার্নশিপের সার্টিফিকেট না দেওয়ার হুমকি দিতে শোন যায় এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ, সেই ব্যক্তি ছিলেন ডা. বিরূপাক্ষ। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন তিনি।
এর পর ৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলের একটি ছবি ভাইরাল হয়। যেখানে ‘বহিরাগত’ বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ছিলেন বলে দাবি করেছে IMA। IMA-র পক্ষ থেকে সেমিনার হলের এই ভাইরাল ছবি দেখিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এই ব্য়ক্তি কি বিরূপাক্ষ বিশ্বাস? সেমিনার হলে কি তিনিও সেদিন উপস্থিত ছিলেন? নানা মহলে এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ছবি ক্রপ করেছে? গোটা ছবি না দেখিয়ে আংশিক কেন দেখাল কলকাতা পুলিশ? কাউকে আড়ালের চেষ্টা হয়েছে? এসমস্ত বিতর্কের মাঝেই এবার ডা. বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে বদলি করল স্বাস্থ্যদপ্তর। সোমবারই আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করে রাজ্য প্রশাসন।