এই সময়: আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার আন্দোলন সরকারি হাসপাতালে সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দিকটি নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই অবস্থায় কলকাতার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের কর্তাদের নিয়ে লালবাজারে বৈঠক করল পুলিশ। হাসপাতাল থেকে শুরু করে গার্লস হস্টেল—নিরাপত্তা ও নজরদারিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা উঠে আসে আলোচনায়।থানাকেও এ ব্যাপারে আরও সক্রিয় ও সংবেদনশীল হতে হবে বলে আলোচনায় ঠিক হয়। রয়েছে সিসিটিভি নজরদারি বৃদ্ধির প্রস্তাবও। মহিলা পুলিশদের আরও বাড়তি দায়িত্ব দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।
সরকারি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, হস্টেলের মতো জায়গায় মাঝেমধ্যেই মহিলা পুলিশকর্মীদের পরিদর্শনে পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর ডায়াল ১০০ নিয়েও প্রচার চালানোর কথা হয়েছে। আর বাহিনীর কেউ আইন ভাঙলে যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কোনও দেরি না হয়, প্রয়োজনে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়--সে কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে আধিকারিকদের।
লালবাজার সূত্রে খবর, মঙ্গলবারের বৈঠকে হাসপাতালের কর্তাদের পাশাপাশি আউটপোস্টের অফিসাররাও উপস্থিত ছিলেন। মূলত হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশের সমন্বয় বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয় বৈঠকে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্যে কী কী করণীয়, সে বিষয়েও হাসপাতালের কর্তাদের থেকে পরামর্শ চান পুলিশকর্তারা।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘হাসপাতালের সুরক্ষা বাড়াতে সেখানকার কর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বেশ কিছু পরামর্শ তাঁরা দিয়েছেন। যা খুব শিগগিরই বাস্তবায়িত করা হবে।’