বিপাকে বিরুপাক্ষ। এক পড়ুয়াকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিরুপাক্ষকে বদল করে দেওয়া হয়েছে কাকদ্বীপে। যাবতীয় অভিযোগও অবশ্য অস্বীকার করেছেন ওই চিকিত্সক।
বর্ধমান মে়ডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের (এস আর) সিনিয়র রেসিডেন্স পদে কর্মরত ছিলেন বিরুপাক্ষ। হাসপাতালে চিকিত্সক ডা. গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, 'তাঁর বদলির নির্দেশ ছিল ২০২৩ সালে ১ আগষ্ট। অথচ সেই বদলির নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এক বছর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকলেন। তিনি হাসপাতালে আসতেন না বলেই জানি'।
ওই চিকিত্সক জানান, 'নিয়ম অনুযায়ী যে হাসপাতাল থেকে ডাক্তারি পাস করেন, সেই হাসপাতালে এক বছর কাজ করতে হয় চিকিত্সকদের। তারপর অন্য হাসপাতালে ২ বছর'। তাঁর প্রশ্ন, 'কোন কারণে বদলির নির্দেশ সত্ত্বেও আরও এক বছর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে থেকে গেলেন বিরুপাক্ষ বিশ্বাস? সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ সিন্ডিকেট সদস্য বলেই কি এত ক্ষমতা'? সঙ্গে অভিযোগ, 'বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অথচ কর্তৃপক্ষ সব জেনেও ব্য়বস্থা নেয়নি'।
আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়াদের দাবি, নির্দেশনামা দেখা যাচ্ছে, ১১.০৮.২৩ তারিখে বিরুপাক্ষ বিশ্বাসকে বদলি করতে বলেছিল স্বাস্থ্য ভবন। কিন্ত শুধুমাত্র অভীক দে-র লবির কারণেই সেই নির্দেশ কার্যকর করার সাহস পায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। স্রেফ বিরুপাক্ষ বিশ্বাসই নন, অবৈধভাবে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নাকি কর্মরত আরও অনেকেই! তাঁদের চিহ্নিত করে অবিলম্বের বদলির দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে ১ বছরে আগেই বিরুপাক্ষকে বদলির নির্দেশ এসেছিল, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ মৌসুমী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'চিকিৎসকের অভাবের জন্যই আমরা ছাড়তে পারেনি। এখন স্বাস্থ্যভবন থেকে নির্দেশ এসেছে, আমরা ছেড়ে দিলাম। এরকম সাত জন চিকিৎসক এখনও আছেন। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ হলেই আমরা তাদের ছাড়তে বাধ্য হব। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ প্রচুর। সেই তুলনায় চিকিৎসক কম। বিভিন্ন কারণে চিকিৎসকদের বদলি আটকে আছে'।