আরজি করে স্নাতকোত্তরে ভর্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ, মামলা হাইকোর্টে
এই সময় | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এ বার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে শূন্য পদ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হাইকোর্টে। সম্প্রতি শহরের এই সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। পাশাপাশি আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে এই সংস্থা, যার প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এই সমস্ত কিছুর মধ্যে এবার আরজি করে পোস্ট গ্রাজুয়েট শূন্য পদে ভর্তি নিয়েও উঠল দুর্নীতির অভিযোগ।সূত্রের খবর, প্রোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি হিসেবে আরজি কর হাসপাতালে কাউন্সিলিংয়ে অংশ নিতে আসেন বিহারের এমবিবিএস পাশ করা এক চিকিৎসক। কিন্তু কাউন্সিলিংয়ের সময় তাঁর সমস্ত নথি জাল বলে দাবি করে টালা থানায় দায়ের করা হয় বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে গ্রেপ্তার করা হয় রাজীব রঞ্জন নামক ওই চিকিৎসককে। তিনি ভুয়ো চিকিৎসক নন, এই মর্মে দরবার করতে গিয়েছিলেন এই রাজ্যের অপর এক চিকিৎসক। তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই রাজীববাবুর পেশ করা সমস্ত নথি দেখে আদালত জানিয়েছিল সেগুলি ভুয়ো বা জাল নয়। ওই চিকিৎসককে জামিনও দেওয়া হয়।
এই ঘটনাতেই পুলিশ ও আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে যোগ্য প্রার্থীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং তাঁর পদ নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। এবার এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের আদালতে মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন।
উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন ওই হাসপাতালেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। হাসপাতালের মেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি-সহ নানা অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। এবার নতুন অভিযোগে বিদ্ধ হল শহর কলকাতার এই হাসপাতাল।