• ইডির দফতরে হাজির রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আজ, বুধবার ইডির তলব পেয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হলেন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। এদিন সকালে মন্ত্রী পৌঁছন সল্টলেকে ইডির দফতরে। সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করার ক্ষেত্রে ডেকে পাঠানো হয়েছে চন্দ্রনাথ সিনহাকে। তাঁর বাড়িতে আগে ইডি হানা দিয়েছিল। আর তল্লাশি করে মিলেছিল ৪১ লক্ষ টাকা। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সেটা বেশ আলোড়ন ফেলে দেয়। তবে এখানে থেকে থাকেননি ইডি অফিসাররা। আজ বুধবার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। তাতেই দিলেন সাড়া।

    এমনিতেই আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে রাজ্য উত্তাল। তাতে চাপে আছে রাজ্য সরকারও। সেখানে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে ইডির তলব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সত্যিই কি মন্ত্রী নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর তার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এখন রাজ্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হলেন চন্দ্রনাথ সিনহা। কদিন আগেই অখিল গিরি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তাঁর হাতে থাকা কারা দফতর যায় চন্দ্রনাথ সিনহার হাতে। এই চন্দ্রনাথ সিনহার নাম নিয়োগ মামলায় হাতে পায় তদন্তকারীরা কুন্তল ঘোষের ডায়েরি থেকে। তারপর থেকেই শুরু ধরপাকড়।

    সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় মন্ত্রীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সেখান থেকে কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন অফিসাররা। তাই চন্দ্রনাথকে এবার তলব করা হয়েছে। বাড়ি থেকে ৪১ লক্ষ টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। আর চন্দ্রনাথের মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেন অফিসাররা। সেই ফোন থেকে তথ্য পাওয়ায় সেগুলি এখন যাচাই করতে চায় ইডি। তাই ডেকে পাঠানো হয়েছে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে। কারও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হলে সেই ব্যক্তিকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁর সামনেই ফোন থেকে তথ্য উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    ইডি সূত্রে খবর, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে চন্দ্রনাথের নাম উঠে আসে। বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হন। তার সূত্র ধরেই মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে নেমে কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই তল্লাশি অভিযানের সময় একটি রেজিস্টার খাতা তদন্তকারীদের হাতে আসে। সেখানে ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা লেখা ছিল। চন্দ্রনাথের মাধ্যমেই ১০০ জন চাকরিপ্রার্থী কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এমনই তথ্য আছে ইডির কাছে। বাজেয়াপ্ত করা মন্ত্রীর ফোন এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তলব করা হয়েছে চন্দ্রনাথকে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)