ফের নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা, বৃহস্পতি থেকে বাড়বে বৃষ্টি
এই সময় | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দক্ষিণবঙ্গে ফের দুর্যোগের ভ্রুকুটি। গণেশ পুজোয় দক্ষিণবঙ্গে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার থেকে সমস্ত জেলাগুলিতে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাত। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। আপাতত মৎস্যজীবীদের জন্য কোনও সতর্কবার্তা নেই। সপ্তাহের শেষে গণেশ পুজো। এই সময় প্রায় প্রত্যেক বছর মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তার জন্য বৃষ্টিপাত হয়। চলতি বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে আবহাওয়া দপ্তরের প্রাথমিক পূর্বাভাস মোতাবেক জানা যাচ্ছে।বদলাবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া, ফের ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্র,শনি এবং রবিবার বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে অনুমান করছেন আবহবিদরা। বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে। শুক্রবারও চলবে বৃষ্টিপাত। এ দিন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টি কলকাতাতেও
শহর কলকাতাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতি এবং শুক্রবার। তবে আপাতত ভারী বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এ দিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৮৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬১ শতাংশ।
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?
শুধু দক্ষিণবঙ্গে নয়, উত্তরবঙ্গেও রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলাতে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে কোচবিহার, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। শুক্রবার দার্জিলিঙে হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি, মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরে।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম-মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পূর্ব বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তবে এই সিস্টেমগুলির প্রভাব এখনও স্পষ্ট নয়।