বর্ধমানে মেডিক্যাল কলেজে ক্যান্টিন চালান মাখন শেখ। নাম, জয়হিন্দ ক্যান্টিন। ক্যান্টিনটি অবশ্য 'মাখনদার ক্যান্টিন' নামেই বেশি পরিচিত। অভিযোগ, এই মাখনদার ক্যান্টিন থেকে কখনও খাবার যেত বিরুপাক্ষের রুমে, তো কখনও আবার খেতেন কর্তব্য়রত অবস্থাতেই। বাদ যেত না চা-সিগারেট, এমনকী, মিনারেল ওয়াটারও! টাকা? দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্টিন মালিককে বিতর্কিত এই চিকিত্সক। ফোন করলে ফোন কেটে দেন। তাঁকে ধরা যায়নি ভিডিও কলেও। মাঝে-মধ্যেই দেখা হলে অবশ্য বলতেন, সব মিটিয়ে দেব, কিন্তু তারপর আবার বেপাত্তা!
বর্ধমান মে়ডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্স পদে কর্মরত ছিলেন বিরুপাক্ষ। অভিযোগ, এক পড়ুয়াকে ফোন রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিরুপাক্ষকে বদল করে দেওয়া হয়েছে কাকদ্বীপে।
এদিকে বিরুপাক্ষের বদলির নির্দেশ জারি হতেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চিকিত্সকের একাংশ। অভিযোগ, বদলির নির্দেশ ছিল ২০২৩ সালে ১ আগষ্ট। সেই নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কীভাবে ১ বছর থেকে গেলেন বর্ধমান মেডিক্যালেই? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
বর্ধমান মে়ডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের (এস আর) সিনিয়র রেসিডেন্স পদে কর্মরত ছিলেন বিরুপাক্ষ। হাসপাতালে চিকিত্সক ডা. গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, 'তাঁর বদলির নির্দেশ ছিল ২০২৩ সালে ১ আগষ্ট। অথচ সেই বদলির নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এক বছর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকলেন। তিনি হাসপাতালে আসতেন না বলেই জানি'।