জানা গিয়েছে, মামলাকারীর নাম রাজীব রঞ্জন। এ রাজ্য নয়, বিহারের চিকিত্সক তিনি। ২০২২ সালে আরজি করে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। এরপর নিয়মাফিক নথি যাচাইয়ের জন্য় আরজি করে আসেন তিনি। কবে? ২০২২ সালেরই ২৩ শে নভেম্বর। কিন্তু যখন নথি যাচাই পর্ব শুরু হয়, তখন রাজীব নাকি বলা হয়, তাঁর নথি ও শংসাপত্র জাল! শুরু হয় তুমুল বাক-বিতন্ডা।
তখন আরজি করের ডিন অফ স্টুডেন্টস এফেয়ার্স ছিলেন বুলবুল মুখোপাধ্য়ায়। রাজীবের দাবি, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযোগ দায়ের করা হয় টালা থানায়। পড়শি রাজ্যের ওই চিকিত্সককে ২০২২ সালের ৩ রা ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয় শিয়ালদহ আদালত। পরে জামিন পান রাজীব।
এখনও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে ভর্তি হতে পারেননি রাজীব। তাঁর দাবি, তদন্ত চলাকালীন বিহারের মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছ থেকেও নথি যাচাই করা হয়েছিল। কাউন্সিল জানিয়েছিল, বিহারে মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্টার্ড চিকিত্সক তিনি। কিন্তু তারপরেও সমস্ত আটক নথি আটকে রেখেছে পুলিস। কেন? অভিযোগ, আরজি করে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে রাজীবের জন্য সংরক্ষিত আসনে পরিকল্পিতভাবেই এই গন্ডগোল তৈরি করা হয়েছিল।
এদিকে আরজি কর দুর্নীতি মামলায় কলেজে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতের দাবি, তাঁর বক্তব্য না শুনেই আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অকারণে আরজি করে মহিলা চিকিত্সককে খুন ও ধর্ষণের সঙ্গে দুর্নীতি মামলাটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আজ, বুধবার সু্প্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করলেন সন্দীপ।