‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামে কর্মসূচি পালন করছেন আরজি করের ডাক্তাররা। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের একাংশের ওপর ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা।গত ১৪ অগস্ট আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মধ্যরাতে ‘রাত দখল’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টের ভিত্তিতে হাজার হাজার মহিলা সেদিন রাস্তায় নেমেছিলেন। ৪ সেপ্টেম্বর রাতেও ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন আরজি করে ডাক্তাররা। সেই কর্মসূচিতে হাজির হন নির্যাতিতার মা-বাবা ও পরিবারের লোকজন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘হাসপাতালের তরফে কী ভাবে বলা হল, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন? সে দিন মেয়ের মুখ দেখতে আমাদের সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ওর মা ওদের হাতে-পায়ে ধরেছেন।’ ঘটনায় পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, ‘কেন ময়নাতদন্ত করতে দেরি হল? রাত পৌনে ১২টায় কেন এফআইআর হল? পুলিশ কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করল?’
আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন, ‘আমি চাই, অপরাধীরাও আমার মতো ঘুমহারা হোক। যত দিন বিচার না পাচ্ছি, আন্দোলন চলুক।’ আরজি করের ডাক্তারদের আন্দোলনকে আগেও সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। যতদিন না এই ঘটনার সঠিক বিচার হচ্ছে, ততদিন এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন জানান নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা।
পাশাপাশি, নির্যাতিতার দেহ তাড়াহুড়ো করে দাহ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন নির্যাতিতার বাবা। দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলেন বলেও জানান তিনি। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘আমরা দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ৩০০-৪০০ পুলিশ টালা থানা ঘিরে রেখেছিল। আমরা সেখান থেকে ফিরে যাই। দেহ দাহ করতে দিতে বাধ্য হই আমরা। শ্মশানের টাকাও নেওয়া হল না আমার থেকে। আমার মেয়ে জানল, বাপি এই টাকাটাও দিতে পারল না!’ পুলিশের ভূমিক নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও।