• প্রতিবাদের ভাষায় মিলে গেল কোচবিহার থেকে কলকাতা, আলো নিভল শহরে, আলো নিভল গ্রামে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আলো নিভল ভিক্টোরিয়ায়। আলো নিভল রাজভবনে। সারি সারি ফ্ল্যাটে। আলো নিভল কলকাতার বস্তি এলাকাতেও। আলো নিভল কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপে। প্রতিবাদে গর্জে উঠল কলকাতা। কলকাতায় রাজপথে নেমে এলেন সাধারণ মানুষ। কারোর হাতে মোমবাতি। কারোর হাতে প্রদীপ। সকলেই চাইছেন ন্যায় বিচার। গলায় একটাই স্লোগান উই ওয়ান্ট জাস্টিস। 

    জুনিয়র চিকিৎসকরা ডাক দিয়েছিলেন আলো নিভিয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় এদিন আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। একাধিক বহুতলে দেখা যায় পরপর বিল্ডিংয়ে আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র কিছু স্ট্রিট লাইট জ্বলতে থাকে। কিন্তু বাকিটা পুরো অন্ধকার। আলোর দিকে যাত্রা করার শপথ নিতে এই অন্ধকার। উঠল আওয়াজ উই ওয়ান্ট জাস্টিস। 

    প্রতিবাদের এই ভাষা আগে দেখেনি কলকাতা। প্রতিবাদের এই ধরনের উদ্যোগ আগে দেখেনি গোটা বাংলা। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায় আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। একেবারে স্বেচ্ছায় আলো নিভিয়ে দেন সাধারণ মানুষ। বহু সাধারণ মানুষ মোমবাতি জ্বেলে বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। কারোর হাতে মশাল। কারোর হাতে প্রদীপ। কারোর হাতে মোমবাতি। বাইপাসের ধারে একের পর এক বহুতলে দেখা যায় ঘুটঘুটে অন্ধকার। প্রতিবাদে ভাষায় মিলে গেল কোচবিহার থেকে কলকাতা। 

    ঝিমিয়ে পড়া বাংলা বুঝিয়ে দিল প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে যায়নি। সম্মিলিতভাবে মানুষ বুঝিয়ে দিল তারা প্রতিবাদ করতে জানে। বাড়ির আলো নিভিয়ে রাজপথে নেমে এলেন সাধারণ মানুষ।  

    রাত ৯টা নতুন করে জেগে উঠল কলকাতা। যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ডে প্রচুর মানুষ নেমে আসেন। তাঁদের হাতে মোমবাতি। 

    প্রতিবাদকারীরা বলেন, এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়ছি না। এই প্রতিবাদ থামবে না। 

    এর আগে রাত দখলে নেমেছিল কলকাতা। হাজার হাজার নারী নেমে এসেছিলেন রাজপথে। যাদবপুরে এসেছিলেন মিমি চক্রবর্তী। মোমবাতি জ্বালান তিনি। এরপর গাড়িতে উঠে চলে যান তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ তিনি আসার পরে কোথাও যেন অস্বস্তি ছিল জনতার মাঝে। 

    এসবের মধ্য়ে হতাশার জায়গা একটাই যে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি হচ্ছে না বৃহস্পতিবার। তার জেরে কিছুটা হলেও হতাশ সাধারণ মানুষ। অনেকেই বলতে থাকেন, এভাবে মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় আমরা হতাশ। অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন হয়তো কিছু একটা হবে সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সেই আশাটাও শেষ হয়ে গেল। ফের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তারপর শুনানি হতে পারে। কিন্তু প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরতে চায় না বাংলা। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)