বিক্রম রায়, কোচবিহার: আর জি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালীন দুষ্কৃতী হামলা। মাথাভাঙায় মোছা হল রং-তুলিতে লেখা ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’। এক আন্দোলনকারীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বুধবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোচবিহারের মাথাভাঙায় তুমুল উত্তেজনা। ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব কুণাল ঘোষ।
বিকেলের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক, শিল্পী সংঘ এবং গণনাট্য সংঘের পক্ষ থেকে মাথাভাঙা শহরে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়। অভিযোগ, রাস্তায় আঁকা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকজন মারমুখী হয়ে ওঠে। এবং এক আন্দোলনকারীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে মকসেদুল ইসলাম বলেন, “আঁকা,নাচ, গানের মাধ্যমে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো হচ্ছিল। সেই সময় অতর্কিতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী হামলা চালায়।”
যারা হামলাকারী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন মিছিলকারীরা। এই ঘটনার নিন্দায় সরব তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। যথাযথ পুলিশি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সকালে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। কলকাতা পুলিশের সিট এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তভার নেওয়ার পর পুলিশের কাছ থেকে সিবিআই সঞ্জয়কে হেফাজতে নেয়। তবে তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে এখনও নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। তার আগের রাতে এক ঘণ্টা আলো নিভিয়ে অভিনব প্রতিবাদের ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন রাত ৯টায় আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় রাজভবনে। আঁধারে ঢাকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (RG Kar Medical College & Hospital) চত্বর-সহ শহরের প্রায় বিভিন্ন প্রান্ত।