• পুজোর আগে ওষুধ দোকান ঠাসা হেরোইনে! ডায়াপার, ক্যাপসুলের আড়ালে মাদক কারবার, বর্ধমানে ধৃত এক
    আনন্দবাজার | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ওষুধের দোকানের আড়ালে চলছিল হেরোইনের কারবার। রাজ্য পুলিশের এসটিএফের অভিযানে উদ্ধার হল প্রচুর মাদক। গ্রেফতার হলেন ওষুধ ব্যবসায়ী। পূর্ব বর্ধমানের কালনার ঘটনা। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুজোর আগে প্রচুর মাদক আমদানি করেছিলেন তাপস সিংহ নামে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। মণিপুর থেকে হেরোইন আনিয়ে সেগুলো নদিয়া, মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় ‘সাপ্লাই’ দিতেন বলে অভিযোগ। উদ্ধার হওয়া মাদকের মূল্য কয়েক কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে।

    কিছু দিন আগেই আন্তঃরাজ্য গাঁজা পাচারকারী দলের একাধিক পাণ্ডাকে পাকড়াও করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১০ কেজি গাঁজা। এ বার সামনে এল হেরোইন কারবারির ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, ওষুধের দোকানের আড়ালে দীর্ঘ দিন ধরে মাদকের কারবার করে আসছেন তাপস। বস্তুত, প্রশাসনের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য ওষুধ দোকান করেন। তার আড়ালে রমরমিয়ে চলত মাদক ব্যবসা। শুধু দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে প্রচুর হেরোইন মজুত করেছেন দোকানে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে বুধবার সকালে কালনা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এসটিএফ ওই ওষুধের দোকানে এবং গোডাউনে হানা দেয়। আর তাতেই তাপস সিং এর হেরোইন কারবারের রহস্যের পর্দা ফাঁস হয় ।

    পুলিশ সূত্রের খবর, ওষুধের ব্যবসার আড়ালে কী ভাবে মাদক কারবার চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে বিস্তর ‘পরীক্ষানিরীক্ষা’ করেছেন তাপস। শিশুদের ডায়াপারে ভিতরে হেরোইন পুরে পাচার করতেন ওই ওষুধ ব্যবসায়ী। তেমনই ক্যাপসুলের মধ্যেও হেরোইন পাচার করা হত।

    গত অগস্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমানের তিনটি পৃথক জায়গায় অভিযান চালিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। তাতে প্রায় ২১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন এক মহিলা-সহ আট জন। প্রতি বারই উদ্ধার হওয়া গাঁজার সঙ্গে জড়িয়েছে ওড়িশার নাম। এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে পুলিশকে। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, ‘‘আমরার বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। ওড়িশায় তদন্তকারী দল কাজ করছে। মূলচক্রীদের খোঁজে তদন্ত করা হচ্ছেয় মাথা ধরা পড়লেই সেই প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাব আমরা।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)