• খাটাল সমস্যায় বিরক্ত বার্নপুরের মানুষ, মোষের গুঁতোয় মৃত্যুর পরও ঠুঁটো ইস্কো
    বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: খাটাল সমস্যা নিয়ে নাজেহাল বার্নপুরবাসী। বার্নপুরের নিউটন এলাকার ইস্কোর জমিতে কার্যত রাস্তার উপর থাকা বিশাল খাটালের জন্য বিপাকে পড়েছেন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। বার বার ইস্কোকে জানিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় এবার নাগরিক মঞ্চ গড়ে আন্দোলনে নামলেন নিউটাউন, ছোট ও বড় দিগারি, নাকরাসোতা, পুরুষোত্তমপুর, সাঁতা, বড়তোড়িয়া, গ্রিন ভ্যালি এলাকার মানুষজন। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকে মোষ। মোষেদের নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে বহু পথচলতি মানুষ জখম হয়েছেন। একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, থেকে বিভিন্ন বাসিন্দা ইস্কোর জমিতে বসতি গড়ে খাটালের আকার বাড়ি঩য়েই চলেছেন বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। 

    আসানসোল পুরসভার ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কাঞ্চন মুখোপাধ্যায় বলেন, ইস্কো বিভিন্ন এলাকায় উচ্ছেদের উদ্যোগ নিচ্ছে, অথচ খাটাল উচ্ছেদ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা বার বার আর্জি করলেও কোনও কাজ হয়নি। তাই সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। 

    জানা গিয়েছে, আসানসোল থেকে চিত্রা মোড়, নিউটাউন হয়ে হীরাপুর থানার বহু এলাকার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। রাস্তাটির উপর আট নম্বর বস্তি এলাকায় এই বিশাল খাটালটি রয়েছে। খাটালটি রাস্তা থেকে উঁচু জায়গায় রয়েছে। তাই বৃষ্টি হলে খাটালের গোবর থেকে নোংরা জল সব রাস্তায় জমা হয়। রাস্তার পিচ্ছিল হয়ে যায়। ওই রাস্তা দিয়েই ইস্কোর কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যেমন যাতায়াত করেন, তেমনি বহু স্কুল পড়ুয়া যাতায়াত করে। এছাড়া রাস্তার উপর মোষ ও মোষ মালিকদের দখলদারি নিয়েও সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। 

    অভিযোগ, এই রাস্তার দিয়ে ইস্কোর প্রাক্তন কর্মী সঞ্জয় মিত্র যাচ্ছিলেন। তখন দুই মোষ নিজেদের মধ্যে লড়াই করছিল। তার মাঝে পড়ে তিনি গুরুতর জখম হন। পরবর্তী কালে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী আগেও আন্দোলন করেছিলেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে মোষ ও বহিরাগত গোয়ালাদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় রবিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত আন্দোলন করেছিলেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবারই নিউটাউনে উচ্ছেদ অভিযান করার কথা রয়েছে ইস্কোর। এখন দেখার হল, কর্তৃপক্ষ খাটালের উপর হাত দেয় কি না। 

    স্থানীয় বাসিন্দা আনন্দ উপাধ্যায় বলেন, বহু এলাকার মানুষ নাগরিক মঞ্চের ব্যানারে আমরা একত্রিত হয়েছি। আমরা আর খাটালের অত্যাচার বরদাস্ত করব না।  
  • Link to this news (বর্তমান)