• বৃষ্টির ঘাটতিতেও একশো শতাংশ জমিতে ধান রোপণের কাজ শেষ
    বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: এখনও বৃষ্টির ঘাটতি ২০ শতাংশ। এর মধ্যেই ১০০ শতাংশ জমিতে আমন ধান রোপণ করার কাজ শেষ হয়েছে বীরভূমে। সেই সঙ্গে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে নাসিকের পেঁয়াজ চাষও শুরু হল। চলতি মরশুমে শুরু থেকেই বৃষ্টির ঘাটতি চিন্তায় ফেলেছিল জেলার চাষি এবং কৃষি অধিকর্তাদের। সেই ঘাটতি কিছুটা মিটিয়ে দিয়েছিল নিম্নচাপ। শুধু তাই নয়, তারপরও দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে জেলাজুড়ে। বর্ষার শুরুতে নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টি না পড়লেও মাঝপথে চাষিদের মুখে হাসি ফুটিয়েছিল এই বৃষ্টি। জোর কদমে শুরু হয়েছিল আমন ধান চাষ। তবে বর্ষার শেষ মরশুমে এখনও পর্যন্ত ২০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে জেলাজুড়ে। 

    জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর জেলায় দুই লক্ষ ৮৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করার লক্ষ্য স্থির করেছিল কৃষিদপ্তর। চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত ২১.১৩ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি নিয়ে ৯৯.৬২ শতাংশ জমিতে আমন ধান চাষ সম্পূর্ণ হয়েছে। জেলা উপকৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) শিবনাথ ঘোষ বলেন, জেলার চাষের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার ১০০ শতাংশ জমিতেই আমন ধান চাষ সম্পূর্ণ হয়েছে। বৃষ্টির ঘাটতি থাকলেও যেটুকু বৃষ্টি হয়েছে তাতে চাষের ক্ষেত্রে দারুণ উপকার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমন ধান চাষে কোথাও কোনও সমস্যা নেই।  

    অন্যদিকে, এই বৃষ্টির ঘাটতি সঙ্গে নিয়ে জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের উদ্যোগে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে নাসিকের পেঁয়াজ চাষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই এর জন্য চাষিদের ৮৫ কেজি পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করেছে উদ্যান পালন দপ্তর। সেই বীজ পাওয়ার পর চাষিরা ইতিমধ্যেই জমিতে রোপণও করেছে। জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে বীরভূমে উন্নতমানের নাসিকের পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ দারুণভাবে সফল হয়েছে। তাই এই চাষের প্রতি আগ্রহও বেড়েছে চাষিদের। বর্ষার মরশুমে বৃষ্টি কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়ালেও পরবর্তীকালে চাষিরা সুষ্ঠুভাবে পেঁয়াজ চাষ করতে পেরেছেন বলে আধিকারিকদের দাবি। জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর সুফল মণ্ডল বলেন, গত কয়েক বছরে এই জেলায় নাসিকের পেঁয়াজ চাষ খুব ভালোই হচ্ছে। চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন। এবারও প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে চাষ হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)