• এবার পুজোয় কাঁথাস্টিচের ব্যাপক বরাত, ভালো রোজগারের আশায় খড়গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠী
    বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কান্দি: শাড়ি হোক বা পাঞ্জাবি। এবার পুজোয় কাঁথাস্টিচের তৈরি পোশাক বাজারে সাড়া ফেলেছে। তাই ওই কাজের বরাত খড়গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিও ব্যাপকভাবে পেয়েছে। এখন ওই এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রায় ২৫০ জন মহিলা দিনরাত এক করে কাঁথাস্টিচের কাজ করছেন। তাই এবারের পুজোয় ভালো রোজগারের আশা করছেন গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা।

    প্রসঙ্গত, খড়গ্রাম ব্লক এলাকায় প্রায় ২৬৮টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা কাঁথাস্টিচের কাজ করেন। বছরের বেশিরভাগ সময় তাঁরা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে কাজ করেন। অন্যান্য বছর পুজোর সময় কাজের চাপ থাকলেও এবছর পুজোয় তাঁদের পোয়াবারো। বিশেষ করে শান্তিনিকেতন, সাঁইথিয়া, কলকাতার মতো বাজার থেকে বহু ব্যবসায়ী তাঁদের কাজের বরাত দিয়েছেন। তাই এখন মহিলা সদস্যদের দম ফেলার ফুরসৎ নেই। প্রতিদিন প্রায় আড়াইশো জন কাঁথাস্টিচের কাজে লেগে রয়েছেন।

    নগরগ্রামের একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবছর শান্তিনিকেতন থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার কাঁথাস্টিচের কাজের বরাত পেয়েছেন। পুজোর ৩০দিন আগেই ওইসব সামগ্রীর ডেলিভারি দিতে হবে। তাই এখন সেখানকার মহিলা সদস্যদের সকাল বিকেল সময় ভাগ করে কাজ করতে হচ্ছে। গোষ্ঠীর সদস্য সুমনা খাতুন বলেন, এবছর পুজোয় প্রচুর কাজ পেয়েছি। তাই বাড়ির কাজ সামলে সকাল বিকেল কাজ করতে হচ্ছে। অন্যবারের মতো কাজ না পাওয়ার জন্য মন খারাপ করে এবার আর বসে থাকতে হচ্ছে না।

    স্থানীয় জয়গুরু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্ঘ সভানেত্রী জুহি মুখোপাধ্যায় বলেন, এবছর পুজোয় কাঁথাস্টিচের কাজের বরাত ভালো পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের শাড়ি ও পাঞ্জাবির উপর কাজ বেশি করা হচ্ছে। এছাড়াও সালোয়ার কামিজ থেকে ওড়নায় কাঁথাস্টিচের কাজ করা হচ্ছে। সেই কারণে মহিলা সদস্যরা রোজগারও ভালো করছেন। একটি শাড়ির কাজ করে এক থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ওঁরা আয় করতে পারছেন।

    স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শুধু কাঁথাস্টিচের কাজ নয়, এবছর পুঁথির কাজও ব্যাপকভাবে পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে কাপড় ও ব্যাগের উপর পুঁথির কাজের বরাত বেশি পাওয়া গিয়েছে। এই কাজেও প্রচুর মহিলা সদস্য কাজ করছেন। একটি গোষ্ঠীর সম্পাদিকা রওসানারা বেগম বলেন, এবারের পুজোয় পুঁথির কাজেরও প্রচুর বরাত পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে ব্যাগ ও কাপড়ের উপর পুঁথির কাজের চাহিদা রয়েছে। এই কাজে প্রচুর মহিলা কাজ করছেন। অনেকে আমাদের কাছ থেকে কাজ নিয়ে গিয়ে বাড়িতেও কাজ করছেন। বলা যায় অনেক বছর পর পুজোর বাজার ভালো পাওয়া গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)