• আউশগ্রামে দীর্ঘদিন হিমঘর বন্ধ থাকায় বিপাকে চাষিরা, অসুবিধা ফসল সংরক্ষণে
    বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানকর: এলাকার একমাত্র হিমঘরটি বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে বছরভর বিভিন্ন ফসলের চাষ হলেও কাঁকসা, বুদবুদ, আউশগ্রাম-২ ব্লকের বেশ কিছু এলাকার চাষিরা ফসল ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। চাষিরা জানান, এলাকায় হিমঘর চেয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। এদিকে বন্ধ থাকা হিমঘর কর্তৃপক্ষের দাবি নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও নিকাশি ব্যবস্থা যথাযথ না থাকার জন্য প্রায় সারা বছরই হিমঘর এলাকায় জল জমে থাকে। একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। আউশগ্রাম-২ ব্লকের বিডিও চিন্ময় দাস বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

    জানা গিয়েছে, আগে চাষিরা আউশগ্রাম-২ ব্লকের কোটা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পানাগড় রেল ওভারব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই হিমঘরটি ব্যবহার করতেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে সেটি বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে ফসল রাখতে গেলে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উজিয়ে গলসি বা আউশগ্রামে কখনও প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দূরে বর্ধমান যেতে হচ্ছে কাঁকসা, সিলামপুর, বুদবুদ, মানকর এলাকার চাষিদের। চাষিরা জানান, আমাদের এলাকাতে সারা বছর বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ হয়। ধান, আলুর উৎপাদনও প্রচুর হয়। কিন্তু এলাকায় হিমঘর না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। প্রথমত ছোট-বড় বিভিন্ন গাড়ি করে ফসল নিয়ে যাওয়ায় চাষের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। 

    দ্বিতীয়ত ওই হিমঘরগুলিতে গলসি ও আউশগ্রাম এলাকার চাষিদের ফসল রাখার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এলাকার চাষি শেখ শরিফ মণ্ডল বলেন, পানাগড়ে হিমঘর না থাকায় চাষিদের সমস্যা হচ্ছে। চাষে লোকসান হচ্ছে। পানাগড়ের হিমঘর চালু হলে খুব উপকার হবে। কেন হিমঘরটি চালু করা যাচ্ছে না? হিমঘরের সুপারভাইজার পঞ্চানন সামন্ত বলেন, গত তিন বছর ধরে আমরা হিমঘরটি চালু করার চেষ্টা করছি। কিন্তু সব ব্যবস্থা করা হলেও জল নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার জন্য মেশিন ঘরে যাওয়া যাচ্ছে না। বর্ষার জল সারা বছর ধরে জমে থাকে। পার্শ্ববর্তী সমস্ত মাঠের জল এখানে এসে জমা হয়। প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। হিমঘর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় জল জমে থাকার ফলে বড় গাড়িও ঢুকছে না। ফলে হিমঘর চালু করা যাচ্ছে না। চালু হলে এলাকার চাষিদের উপকার হবে। পাশাপাশি এলাকায় কর্মসংস্থান হবে। 

    বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতা রমন শর্মা অভিযোগ করে বলেন, হিমঘরটি জলমগ্ন হয়ে থাকে। প্রশাসন এতদিন ধরে একটা নিকাশি ব্যবস্থা করতে পারল না। কৃষি বা শিল্পে নজর নেই এই সরকারের। কোটা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আলাউদ্দিন মণ্ডল বলেন, অনেকবার নিকাশি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)