• ১৬ কিলোমিটার উন্মুক্ত সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাংলাদেশিদের
    বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি: জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬ কিমি উন্মুক্ত সীমাম্তই এখন মাথাব্যাথার মূল কারণ। একমাস আগে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারতের খোলা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বেড়েছে। ইতিমধ্যে ১১ জন বাংলাদেশি বিএসএফ ও পুলিসের হাতে ধরা পড়েছে। তার মধ্যে ৮ জনকে তাদের দেশে ফিরিয়েও দিয়েছে বিএসএফ। পাশাপাশি, বাংলাদেশে প্রচুর জেলবন্দি ছাড়া পাওয়ায় ভারতের খোলা সীমাম্তে নাশকতার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। ফলে কাঁটাতারহীন সীমান্তের গ্রামগুলির বাসিন্দারা ভয়েই তটস্থ হয়ে থাকছেন। 

    বেড়াহীন ১৬ কিমি সীমান্তে রয়েছে নতুনবস্তী, নলজোওয়া পাড়া, চিলডাঙা, বারুই পাড়া, ভুটিয়া পাড়া সহ আরও কিছু গ্ৰাম। মঙ্গলবার কথা হচ্ছিল নলজোওয়া পাড়ার গৃহবধূ নিলীমা রাযয়ের সঙ্গে। তাঁর মনেও চেপে বসেছে আতঙ্ক। বধূ বলেন, একমাস ধরে খোলা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে বলে শুনেছি। তাই আমরাও সন্ধ্যার পর থেকে ভয়ে ভয়ে থাকি।

    বিএসএফের জওয়ানরা পাহারায় রয়েছেন বলে শান্তি। গত দু’সপ্তাহে বিএসএফের হাতে কয়েকজন বাংলাদেশি ধরা পড়েছে। আমরা চাই, উম্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। আতঙ্ক রয়েছে চিলডাঙা গ্রামেও। সত্যেন্দ্রনাথ রায় নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, দু’সপ্তাহে কয়েকজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছে। পরে বিজিবি-র সঙ্গে ফ্ল্যাগমিটিং করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্তি পাওয়া জঙ্গিরা যে কোনও সময় ভারতে অনুপ্রবেশ করতে পারে। আমরা চাই, বিএসএফের তরফে উম্মুক্ত সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতার বসানো হোক। 

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএসএফ আধিকারিক জানান, উম্মুক্ত সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের তরফে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে কয়েকজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভারতে প্রবেশের সময় ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিজিবির সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিং করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।

    সতর্ক রয়েছে পুলিসও। মানিকগঞ্জ আউট পোস্টের ওসি জিপা প্রধান বলেন, পুলিসের তরফে আলাদাভাবে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)