• জেলাস্তরের খো খো প্রতিযোগিতা জয়ের পর এবার লক্ষ্য রাজ্যস্তরে
    বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: জেলাস্তরের খো খো প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে এবার রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে ময়নাগুড়ি ব্লকের রথেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের (উঃ মা) ছাত্রছাত্রীরা। দুর্গাপুজোর আগেই রাজ্য পর্যায়ের খেলা হবে বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    জেলাস্তরে চারটি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রথেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়। অনূর্ধ্ব ১৪ বছরের বালক, অনূর্ধ্ব ১৭ বালক, বালিকা এবং অনূর্ধ্ব ১৯ বালিকা এই চারটি বিভাগে খো খো খেলায় জলপাইগুড়ি জেলাস্তরে চ্যাম্পিয়ন হয় এই স্কুল। রাজ্যস্তরের খেলায় রথেরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করবে। মোট ছ’টি বিভাগে এই খেলা হবে। 

    পড়াশোনায় ময়নাগুড়ির রথেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের যথেষ্ট নামডাক রয়েছে। এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোতেও প্রচুর পদক অতীতে এনেছে। ২০২৩ সালে খো খো খেলায় অনূর্ধ্ব ১৪ বালক বিভাগে এই স্কুল জেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এই স্কুলে পড়াশোনা করে এখানেই চাকরি করছেন জ্যোতিরাম রায়। এছাড়াও গ্রুপ-ডি পোস্টে রয়েছেন অভয় মল্লিক। তিনিও এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। 

    রথেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া প্রায় এক হাজার। স্কুল ১৯৫২ সালে স্থাপিত হয়। স্থায়ী শিক্ষক ১৩ জন। পার্শ্বশিক্ষক পাঁচজন। গ্রুপ-ডি কর্মী আছেন একজন। তবে স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদটি ফাঁকা। বর্তমানে স্কুলে টিআইসি শ্যামল রায়। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি রমণী রায়। কোনও করণিক নেই এই স্কুলে। কলা বিভাগে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ানো হয়। পড়ুয়া ও অভিভাবকরা চাইছেন বিজ্ঞান বিভাগ চালু হোক। মাধ্যমিক পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পেয়ে অনেকেই বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। কিন্তু, এখানে বিজ্ঞান বিভাগ না থাকার কারণে তাদের গ্রামের স্কুলটি ছেড়ে দূরে শহরের স্কুলে যেতে হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের ছেলেমেয়েরা সমস্যায় পড়ছে। 

    এই স্কুলের অভিভাবক বিজয়কুমার শর্মা। তিনি বলেন, স্কুলে পঠনপাঠন ভালো হয়। তবে শিক্ষকের অভাব রয়েছে। আমরা চাইছি, শূন্য পদগুলিতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী দ্রুত নিয়োগ হোক। পাশাপাশি চালু হোক বিজ্ঞান বিভাগ। 

    স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি রমণী রায় বলেন, স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ চালু এবং শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। স্কুলের ক্রীড়াশিক্ষক প্রসন্ন বর্মন বলেন, এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা খেলাধুলোয় অসাধারণ। পড়াশোনাতেও ওদের যথেষ্ট মনোযোগ রয়েছে। আগস্ট মাসে জেলাস্তরের খো খো প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এবার রাজ্যস্তরের খো খো প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে এগচ্ছি আমরা। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)