• শহর বনাম গ্রাম, বেনজির বিরোধ টোটোচালকদের
    বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: শহরের ঢোকার একাধিক জায়গায় ড্রপ গেট করে গ্রামীণ এলাকার টোটো আটকে দেওয়া হচ্ছে পুরসভা ও পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে। উদ্দেশ্য শহরের রাস্তায় যানজট নিয়ন্ত্রণ। এবার এরই প্রতিবাদে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললেন জলপাইগুড়ির গ্রামাঞ্চলের টোটোচালকরা। বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি শহরের কাছে গড়ালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শোভাগঞ্জে অবরোধ করেন টোটোচালকরা। আটকে দেওয়া হয় শহর থেকে সেখানে যাওয়া একাধিক টোটো ও অটো। এতে আটকে পড়েন বেশ কয়েকটি প্রাথমিক ও হাইস্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ অফিস কর্মীরা।  

    জলপাইগুড়ি শহরের রাস্তায় দৈনিক প্রায় ১৭ হাজার টোটো চলাচল করে। এর মধ্যে অধিকাংশ টোটোই আসে গ্রাম থেকে। টোটোর কারণেই দিনের পর দিন শহরের রাস্তায় যানজট বেড়ে চলেছে, এমনই অভিযোগ। যানজট নিয়ন্ত্রণে যেকারণে পদক্ষেপ নিয়ে শহর এবং শহর সংলগ্ন চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে হাজার পাঁচেক টোটো চলাচলের অনুমতি দিয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভার। ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশনও শুরু হয়েছে। এরপরেই শহরে ঢোকার রাস্তাগুলিতে ড্রপ গেট করে অন্যান্য পঞ্চায়েত এলাকার টোটো ঢোকা আটকে দেওয়া হচ্ছে। 

    এরই প্রতিবাদে বুধবার পাল্টা অবরোধ শুরু করেন গড়ালবাড়ির তিন শতাধিক টোটোচালক। মহম্মদ গুলজার রহমান নামে এক টোটোচালক বলেন, আমাদের গ্রামের ৩৩০০ টোটোচালক আছেন। এঁদের শহরে ঢুকতে না দিলে শহরের যেসমস্ত টোটো এবং অটো গ্রামের রাস্তায় যাত্রী নিয়ে আসে, সেগুলিকেও আটকে দেব। শহর থেকে আসা শিক্ষক শিক্ষিকাদের গ্রামের স্কুলে ঢুকতে দেব না। 

    এদিন সকাল ৯টা থেকে শোভাগঞ্জে অবরোধ শুরু করেন টোটোচালকরা। আটকে দেওয়া হয় শিক্ষকদেরও। গড়ালবাড়ি হাইস্কুলের টিআইসি মদন সরকার বলেন, বহু বেকার যুবক টোটো চালিয়ে উপার্জন করছেন। তাঁদের কথা চিন্তা করে প্রশাসনের একটি সুষ্ট পদক্ষেপ করা উচিত। এদিকে, আড়াই ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে কোতোয়ালি থানার পুলিসের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)