• কল্যাণী মেডিক্যালের অধ্যক্ষ অপসারিত, অব্যাহত জুনিয়র চিকিত্সকদের বিক্ষোভ   
    বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কল্যাণী: জুনিয়র ডাক্তারদের টানা আন্দোলন ও কর্মবিরতির মধ্যেই এবার সরিয়ে দেওয়া হল কল্যাণী কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালের অধ্যক্ষকে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বুধবার চিঠি দিয়ে একথা জানানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (এনএমসি) নিয়ম অনুযায়ী অধ্যক্ষ হওয়ার যোগ্যতামান না থাকায় অভিজিৎবাবুকে সরানো হয়েছে। সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে গাইনোকোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মণিদীপ পালকে অধ্যক্ষের দায়িত্বে আনা হয়েছে। অভিজিৎবাবু ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন।

    এদিকে, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সহ একাধিক দাবিতে নতুন অধ্যক্ষকেও ঘেরাও করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবির বিষয়ে কর্ণপাত না করার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য দেবাশিস বসুর পদত্যাগের দাবি উঠেছে। আগের প্রিন্সিপালকে আচমকা সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক থেকে পড়ুয়ারা। এদিনও তাঁরা জরুরি বিভাগে রোগী দেখেননি। সেখানে সিনিয়র চিকিৎসকরা পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন। 

    তবে রোগী ও হাসপাতাল কর্মীদের একাংশ বলছেন, সিনিয়র ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগে বসায় পরিষেবা অনেক ভালো হচ্ছে। তবে চিকিৎসকের সংখ্যা সার্বিকভাবে কম থাকায় মাঝেমধ্যেই রোগীর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন মঞ্চের পাশে বসে তিলোত্তমা ক্লিনিক খুলে সকাল থেকে রোগী দেখছেন। কলেজের এক ইন্টার্ন আলিম বিশ্বাস বলেন, ‘রোগীদের সমস্যার কথা জেনেও আমরা নিরুপায়। আমরা আমাদের কলেজকে আরেকটা আর জি কর হতে দেব না। আমরা চাই, কর্তৃপক্ষ কলেজে এসে আমাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলুক। আমাদের অভিভাবকসম প্রিন্সিপালকে অন্যায়ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ বিদায়ী অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এনএমসির নিয়ম অনুযায়ী যে যোগ্যতা প্রয়োজন, তা কম থাকায় আমায় পদ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি।’ নতুন অধ্যক্ষ ডাঃ মণিদীপ পাল বলেন, ‘এনএমসি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমি ছাত্রদের আন্দোলনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)