•  নির্যাতিতার ছবি-নাম দিয়ে শ্যামবাজারে পোস্টার, নিন্দা  ​​​​​​​
    বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আন্দোলন চলছেই। শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ের একটু দূরে একাংশজুড়ে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন বাম ছাত্র-যুব-মহিলারা। সেখানে চলছে স্লোগান। গোটা শ্যামবাজার এলাকায় ছড়িয়ে আছে আন্দোলন-প্রতিবাদের নানা রকমের পোস্টার, লেখা। সেখানেই বুধবার বিকেলে চোখে পড়ল একটি পোস্টার। সেই পোস্টারে নির্যাতিতার নাম-ছবি রয়েছে। বলা হয়েছে, ‘তোমার খুনের শেষ বিচার করবে জনগণের আদালত।’ কারা দিয়েছেন এমন বেআইনি পোস্টার? নীচে লেখা রয়েছে ‘জনগণ দ্বারা প্রচারিত’। 

    দিনকয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্ট নির্যাতিতার ছবি-পরিচয় প্রকাশের ক্ষেত্রে বিরত থাকার আইন স্মরণে এনে দিয়েছিল। কিন্তু কে কার কথা শোনে? সমস্ত নিয়ম কানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বুদ্ধিহীন আবেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি প্রকাশ তো চলছিলই, এবার একেবারে প্রকাশ্য রাস্তায় তা দেখা গেল। কিছু আন্দোলনকারীর এই ‘নির্বুদ্ধিতায়’ পথচলতি মানুষও যথেষ্ট বিরক্ত। রঙিন ছবি দেখে পথচলতি মানুষের অনেকেই থমকে দাঁড়াচ্ছেন। পড়ছেন পোস্টারটা। কেউ বলছেন, ‘নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ্যে আনা বেআইনি না?’ আবার কেউ বলছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট যখন বলেছে, তারপরেও এরকম ছবি পোস্টার করে দেওয়ার মানে কী?’ কেউ বললেন, ‘নির্যাতিতার মা-বাবা এতবার আবেদন করলেন, তাও কেউ কানে নিলেন না! ছিঃ’। কারও দাবি, ‘এই বিষয়ে পুলিসের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’ তবে গোটা বিষয়টা পুলিসের নজরে আসতেই তারা ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। কিছুক্ষণ বাদে দেখা গেল, কেউ ওই পোস্টার ছেঁড়ার ব্যবস্থা করছেন।

    অন্যদিকে, নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনার অভিযোগে এদিন কলকাতা পুলিস কমিশনারের অপসারণ দাবি করে মামলা দায়েরের অনুমতি চান আইনজীবী অমৃতা পাণ্ডে। এদিন তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, বেঞ্চ জানিয়েছে এখনই বিষয়টি তারা গ্রহণ করছে না। কারণ এই একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি করছে। তাই এখনই মামলাটি গ্রহণ করা হবে না। আইনজীবীকে অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে বেঞ্চ।
  • Link to this news (বর্তমান)