• লাগাতার আন্দোলনে হচ্ছে না বউনি, দোকানিদের মাথায় হাত
    বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রতিদিন একাধিক মিছিল। সে সব আন্দোলন কর্মসূচির অন্যতম হটস্পট শ্যামবাজার। এর পাশাপাশি উত্তর কলকাতার হাতিবাগান-শ্যামবাজার ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্র। সেখানকার ব্যবসায়ীদের এখন মাথায় হাত। বেচাকেনা প্রায় তলানিতে। এখানকার কোনও দোকান ১০০ বছর পুরনো। কোনওটার বয়স পঞ্চাশের বেশি। ব্যবসায়ীরা বললেন, ‘পুজোর আগে বছরের এই সময় রমরম করে দোকান চলে। কিন্তু এ বছর তো খদ্দেরই আসছে না। ফাঁকা দোকান নিয়ে আমরা বসে আছি। ব্যবসার এমন অবস্থা কোনওদিন হয়নি।’পুজোর বাকি আর মাত্র এক মাস কয়েকদিন। শ্যামবাজার চত্বরের দোকানগুলো থেকে বহু মানুষ ঢেলে পুজোর বাজার করেন। বুধবার বিকেলে সেখানে দেখা গিয়েছে, ফাঁকা দোকান নিয়ে বসে প্রায় সব ব্যবসায়ী। বেল্টের দোকান রয়েছে নব দাসের। তিনি বললেন, ‘সেই সকালে দোকান খুলেছি। এখন সাড়ে চারটে বাজতে যায়। বউনি পর্যন্ত হয়নি।’ ক্রেতা ডাকা শুরু করলেন নব। এক ফাঁকে জানালেন, ৪০ বছর বয়স দোকানের। এরকম অবস্থা খুব একটা কোনওবার হয়নি। ১০০ বছরেরও বেশি বয়স সোমনাথবাবুর কসমেটিক্সের দোকানটির। তাঁর দোকানের এক কর্মচারি বললেন, ‘দেখতে তো পাচ্ছেন, এই পুজোর মরশুমে ভর বিকেলেও ফাঁকা দোকান নিয়ে বসে আছি। ব্যবসা একেবারে ডাউন ।’ অধিকাংশ দোকানদারের বক্তব্য, ‘ব্যবসার জায়গা ছেড়ে আন্দোলন হলে সবাই বেঁচেবর্তে থাকতে পারে।’ এক দোকানদার বললেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কেনাবেচা হবে। না হলে কী যে হবে ভগবান জানেন!’  (ছবি-সায়ন)
  • Link to this news (বর্তমান)