• রাজভবনে নিভে গেল আলো, মোমবাতি জ্বালালেন রাজ্যপাল, বিশেষ বার্তাও দিলেন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • বাড়ির আলো নিভল। মোমবাতি জ্বলে উঠল রাজপথে। স্লোগান উঠল—উই ওয়ান্ট জাস্টিস। হ্যাঁ, কলকাতার রাজপথে এই ছবি দেখা গেল রাতজুড়ে। কারণ আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তাতেই শিউরে উঠেছে বাংলার জনগণ। তাই রাজপথে নেমেছেন সকল স্তরের মানুষজন। তবে এখানে একটা অন্য ছবিও দেখা গেল। সেটা অবশ্য রাজভবনের। যেখানের বাসিন্দা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজভবনের আলো নেভালেন রাজ্যপাল। আর ঘন অন্ধকারে ঢেকে গেল গভর্ণর হাউজ।

    তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পার হয়ে গিয়েছে। সিবিআই তদন্তভার নিলেও এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি। কবে মিলবে সুবিচার?‌ এই প্রশ্ন তুলেই বুধবার পথে নেমে আন্দোলনে সামিল হন জুনিয়র ডাক্তাররা এবং শহরবাসী। আর রাজভবনের আলো নেভানোর পাশাপাশি বাংলার জনগণের আবেগকে প্রশমিত করতে ও মহিলাদের সুরক্ষা–নিরাপত্তা প্রদান করে আইনশৃঙ্খলা সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের আলোও বুধবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত একঘণ্টা নিভিয়ে দেওয়া হয়।

    এদিন যাদবপুর কেপিসি হাসপাতাল থেকে শুরু করে সাউথ সিটি পর্যন্ত মিছিল হয়। এই মিছিলে পা মেলান অভিনেত্রী স্বস্তিকা–সহ একাধিক তারকা। গড়িয়াহাটে মানববন্ধন করা হয়। বিশ্ববাংলা গেটের কাছে মিছিল করেন নিউটাউনের বাসিন্দারা। পথে নেমে বিক্ষোভে সামিল হন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরাও। সুপ্রিম কোর্টে আজ শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কবে মিলবে সুবিচার তার দাবিতে পথে নেমে আন্দোলনে সামিল হন প্রায় গোটা শহরবাসী। গলি থেকে রাজপথ সেই ছবিই দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে রাজভবনের আলো নিভিয়ে রাজ্যপাল চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালেন। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

    নাইট শিফটে কাজ করে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। কলকাতা পুলিশ এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে । যে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। তারপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশের কাছ থেকে তদন্ত চলে যায় সিবিআইয়ের কাছে। সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নেয় সিবিআই। এখন জেল হেফাজতে। কিন্তু সিবিআই তদন্তে খুশি নন আপামর জনগণ। কারণ সব যেন থমকে আছে। সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে। ধর্ষণ–খুনে নয়। এখন দেখার জল কতদূর গড়ায়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)