• সিবিআই ঘেরাও কর্মসূচিতে বিভক্ত বঙ্গ কংগ্রেস, প্রবীণদের পথে সায় নেই অধীর গোষ্ঠীর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় সব রাজনৈতিক দলই পথে নেমেছে। এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। যে তদন্তে খুশি নয় কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত তদন্ত কোন পর্যায়ে পৌঁছে তা দেখা যাচ্ছে না। নতুন কোনও গ্রেফতার বা তদন্তের মোড় ঘটেনি। সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে। ধর্ষণ–খুনের ঘটনায় নয়। তাই বিচার মিলছে না বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। আর বিচারের দাবিতে সিবিআই দফতর ঘেরাও কর্মসূচি নিল হাত শিবির। কিন্তু কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে তা বিভক্ত হয়ে পড়ল।

    এই সিবিআই ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেননি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের অধীর গোষ্ঠীর নেতারা। মঙ্গলবার রাতে অধীর শিবিরের নেতা সৌম্য আইচ রায় এই কর্মসূচিতে যে প্রদেশ নেতৃত্বের সায় নেই সেটা বুঝিয়ে দেন। লিখিত বিবৃতিতে কংগ্রেস মুখপাত্র জানান, ‘‌প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা আপনারা জানেন আরজি কর কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও তত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত করছে। কলকাতা পুলিশ তথ্য প্রমাণ লোপাট করেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বাংলার মানুষের শেষ ভরসা সিবিআই। আমরা আশাবাদী, সিবিআই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করবে। তাই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি আপাতত সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও আন্দোলন করছে না এবং কোনও আন্দোলনকে সমর্থন করছে না।’‌

    এই বিবৃতি দিয়ে অধীর গোষ্ঠী বুঝিয়ে দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের রাশ তাদের হাতে আছে। সুতরাং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে এড়িয়ে কোনও কর্মসূচি করা যাবে না। তবে বুধবার বড়বাজার জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেস ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়। অধীর চৌধুরীর বিরোধী বলে পরিচিত কংগ্রেস নেতারা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন। নিজাম প্যালেস ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, আবদুল মান্নান, অমিতাভ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক এবং যুব কংগ্রেসের রোহন মিত্ররা। এখানে নবীনের চেয়ে প্রবীণের সংখ্যাই বেশি ছিল। তাঁরা পাল্টা অধীর শিবিরকে বুঝিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিই শেষ কথা নয়।

    প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবিরের অনুমতি ছাড়া সিবিআই ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে দলের অন্দরের বিভাজনকেই সামনে তুলে আনা হয়েছে। রীতিমতো ‘ক্ষমতা’ প্রদর্শনের বার্তা দেওয়া হয়। মুখে কিছু না বলে কাজে করে দেখান অধীর বিরোধী শিবিরের নেতারা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘দলের প্রবীণ–অভিজ্ঞ নেতাদের কোনও কদর নেই বাংলার কংগ্রেসে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের দাবি মেনে রাজনৈতিক দলগুলিকে আন্দোলনে নামতে হচ্ছে। এখনও যদি আমরা কারও অনুমতির অপেক্ষা করি সেটা কখনও সময়োপযোগী হবে না। তাই প্রবীণ নেতারা এবং কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তায় নেমেছেন।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)