আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদের মাঝেই উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ। ‘থ্রেট কালচার’ ও পরীক্ষা পদ্ধতিতে নানা ত্রুটি নিয়ে সরব হন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের আন্দোলনের পরেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটি তিনদিনের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানা গিয়েছে।দিনভর ঘেরাও থেকে বুধবার রাতে। চিকিৎসক পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত ও সহকারী ডিন সুদীপ্ত শীল। চিকিৎসক পড়ুয়াদের একাধিক দাবি দাওয়া ছিল। অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই ‘থ্রেট কালচার’ চলছে। বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়াদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারী চিকিৎসক পড়ুয়াদের চাপে রাতে দু’জন পদত্যাগ করেন।
পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, পরীক্ষায় কয়েকজনের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। হস্টেলগুলিতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হস্টেলগুলিতে নিরাপত্তা রক্ষীদের বদলির দাবিও জানানো হয়। রাতারাতি কয়েকটি হস্টেল থেকে নিরাপত্তা রক্ষীদের বদলি করা হয়েছে। পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতে কয়েকজনের নামে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ফাঁড়ির পুলিশ।
পড়ুয়াদের দাবি, পরীক্ষায় দুর্নীতির ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাঁদের নাম সামনে আনার দাবি তুলেছেন তাঁরা। যদিও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যদিকে, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, ‘পড়ুয়ারা একাধিক দাবির কথা জানিয়েছে। সেসব দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’