আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘রাত দখল’ কর্মসূচির জেরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে কলকাতা থেকে হাওড়া যাওয়ার রাস্তায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বেলা সাড়ে ন’টা পর্যন্ত প্রবল যানজট হয়। খুব ধীরে যান চলাচল করে। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। অনেককেই বাস থেকে নেমে হেঁটে সেতু পেরোতে দেখা যায়।যানজটের প্রভাব পড়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, আন্দুল রোড-সহ একাধিক রাস্তায়। দীর্ঘ সময় ধরে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল বাস, মিনিবাস, ট্রাক, চার চাকার ছোট গাড়ি-সহ অন্য যানবাহন। পুলিশ জানায়, বুধবার ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে শহর ও তার লাগোয়া অনেক এলাকায় মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন। তার জেরে অনেক রাস্তাতেই যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছিল।
বিটি রোডের সিঁথি মোড়ে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করছিলেন। তার জেরে নিবেদিতা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলই করতে পারেনি। ওই সব যানবাহনকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু অত যানবাহনের চাপ নিতে পারেনি দ্বিতীয় হুগলি সেতু। তার ফলেই যানজট হয়।
পুলিশ অবশ্য জানায়, যানজট কেবল দ্বিতীয় হুগলি সেতুতেই নয়, খড়গপুর, বর্ধমান বা ডানকুনি থেকে যে সব যানবাহন কলকাতামুখী ছিল, সেই সব গাড়িও ‘রাত দখল’ কর্মসূচির জেরে রাত থেকে বিভিন্ন রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। কোনা এক্সপ্রেসের সাঁতরাগাছি, বেতড়, বেলেপোলেও যানজট হয়। যানজটের প্রভাব পড়ে আন্দুল রোডেও।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে রাত দখল কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরে সিঁথি মোড়ের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিবেদিতা সেতু দিয়েও যান চলাচল শুরু হয়। কিন্তু দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে সকাল সাড়ে নটা বেজে যায়।