• ১০ অগাস্ট সই করা 'বিস্ফোরক' চিঠি, সন্দীপের নির্দেশেই দেহ উদ্ধারের পরই ক্রাইম সিনের পাশে 'সংস্কার'!
    ২৪ ঘন্টা | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর-কাণ্ডে এবার সামনে সন্দীপ ঘোষের সই সম্বলিত বিস্ফোরক চিঠি! ট্রেইনি ডাক্তারের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরদিনই হাসপাতালে সংস্কার করতে চেয়ে পূর্ত দফতরে চিঠি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। সন্দীপ ঘোষের সই সম্বলিত সেই চিঠি সামনে আসতেই জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনাম রুম থেকে ট্রেইনি ডাক্তারের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের পর দিন ১০ অগাস্ট-ই অর্থাত্‍ ধর্ষণ ও খুনের দ্বিতীয় দিনেই ঘটনার জায়গায় মানে 'ক্রাইম সিনে' নির্মাণকাজ করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন খোদ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে, স্বাস্থ্যভবনের সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ অগাস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং মেডিক্যাল এডুকেশনের ডিরেক্টরের সঙ্গে আরজি করের বোর্ড রুম মিটিংয়েই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাত্‍ সন্দীপের নির্দেশেই ক্রাইম সিনের পাশে শুরু হয় 'সংস্কার'!

    আর এই চিঠি সামনে আসার পরই 'মিথ্যাচার'-এর অভিযোগে সরব বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই এই চিঠি নিয়ে রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও পুলিসকে নিশানা করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। প্রসঙ্গত, ঘটনার পরদিনই 'ক্রাইম সিন' সেমিনার রুম সংলগ্ন ঘরের দেওয়াল ভাঙা শুরু হতেই হই চই পড়ে যায়। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ওঠে। এই চিঠি সামনে আসার পর সেই অভিযোগেই যে সিলমোহর পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘটনার পরদিনই হাসপাতালে মেরামতি ও সংস্কারের নির্দেশ দিচ্ছেন সন্দীপ ঘোষ! অন-ডিউটি ডক্টরস রুম মেরামতি, সংস্কার ও পুনর্নিমাণের অনুমতি চেয়ে পূর্ত দফতরে চিঠি লেখেন সন্দীপ ঘোষ। এই চিঠির সূত্র ধরেই ট্রেইনি ডাক্তারের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের যোগসূত্র থাকার যে দাবি আন্দোলনকারীদের, তা যেন আরও একবার জোরালো হল। 

    প্রসঙ্গত, এই ভাঙচুরের পরেই হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তভার পায় সিবিআই। এই ঘটনায় প্রশ্ন ওঠে, হঠাৎ কেন এই ভাঙচুর? কার নির্দেশেই বা এই সংস্কার? আদালতেও শুনানির সময় যখন এই বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে, তখন কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয় যে, এই সংস্কারের সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। আর সেই অনুযায়ী-ই কাজ হয়। কিন্তু এবার পূর্ত দফতরকে দেওয়া সন্দীপ ঘোষের চিঠিতে এটা জলের মতো স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেই হাসপাতালে সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ নিজে। অপরাধকে ধামাচাপা দেওয়া, তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার পিছনে সন্দীপ ঘোষের সিন্ডিকেট রয়েছে বলে প্রথম থেকেই সরব জুনিয়র ডাক্তাররা, বিরোধীরা। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগের তিরও সন্দীপ ঘোষের দিকে!

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)