তদন্তের ২২ দিন পরেও CBI ‘নিশ্চুপ’ কেন? আক্রমণ তৃণমূলের
এই সময় | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি কর কাণ্ডে গত ১৩ অগস্ট তদন্ত ভার পায় সিবিআই। প্রায় ২২ দিন অতিক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। নারকীয় ঘটনার তদন্তে নতুন কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিক, এমনটাই দাবি তৃণমূলের।তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শশী পাঁজা বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, ‘২৩ দিন, প্রায় ৫৫০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে স্থানান্তরিত হওয়ার পরেও ধর্ষণ ও আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশে তারা নীরব কেন?’ ব্রাত্য জানান, এই তদন্ত যতদিন কলকাতা পুলিশের আওতায় ছিল, প্রতিদিনই সাংবাদিক বৈঠক করে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানো হতো। অথচ, সিবিআই টানা ২২ দিন তদন্ত করে ফেললেও সাধারণ মানুষ যাঁরা বিচারের আশায় রয়েছেন, তাঁরা সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছেন। সিবিআইয়ের এই ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় তৃণমূলের তরফে।
ব্রাত্য বলেন, ‘সিবিআই কেন এতদিন নিশ্চুপ রয়েছে? তার মানে কি কলকাতা পুলিশের তরফে তদন্ত নিয়ে যা তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছিল তাদের হাতে, তার বাইরে আর নতুন কিছু বলার নেই? সিবিআইয়ের দিক থেকে আসলে এক নীরবতা এবং সার্বিক ধন্দ রয়ে যাচ্ছে।’ সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে নির্যাতিতার মা ও বাবার বক্তব্যের ভিডিয়ো দেখানো হয়। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতার মা ও বাবা বেশ কিছু বক্তব্য রাখেন। সেখানে নির্যাতিতার বাবা দাবি করেন, মেয়ের দেহ যখন বাড়িতে রয়েছে তখন তাঁকে পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল! অথচ, ভিডিয়োর বক্তব্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘কে বলল এই কথা? আমাদের এই সম্বন্ধে কিছু বলার দরকার কী আছে? এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি।’ কেন দু’রকম কথা বলা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলা হয় পুলিশের তরফে।
কলকাতা পুলিশের তদন্ত চলাকালীন বেশ কিছু প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। এর উত্তরে ব্রাত্য বলেন, ‘সিবিআই সূত্র থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এই খবর পরিবেশন করছে। আমরা একটি নির্দিষ্ট বিবৃতি চাইছি সিবিআইয়ের তরফে। যদি, সত্যিই প্রমাণ লোপাট হয়ে থাকে, তাহলে তো ভয়ঙ্কর ঘটনা! সেটা তাহলে সিবিআই জানাক।’ এর সঙ্গে মন্ত্রী শশী পাঁজা যোগ করেন, ‘কারও কাছে যদি প্রমাণ লোপাটের কোনও তথ্য থাকে, তাহলে তাঁরা সেটা জমা দিক। এরপর সিবিআই সেটা তদন্ত করে দেখুক। তাহলেই তো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’ পাশাপাশি, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সাধারণ নাগরিক সমাজের আন্দোলনের গায়ে রাজনীতির রং লাগছে বলেও দাবি করা হয় তৃণমূলের তরফে।