আরজি করে সেমিনার হলের পাশের ঘর ভাঙতে নির্দেশ দেন সন্দীপ ঘোষ
এই সময় | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চলাকালীন সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য। আরজি কর হাসপাতালের যে সেমিনার হল থেকে নির্যাতিতার মৃতদেহ উদ্ধার হয়, তার পাশের একটি ঘর ভাঙা নিয়ে বিতর্ক দানা বাধে। সেই ঘর ভাঙার নির্দেশ কে দিয়েছিল? নির্দেশ দিয়েছিলেন আরজি করের তরকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পূর্ত দফতরকে লেখা তাঁর একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে।
যে চিঠিটি (যা যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন) সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে পূর্ত বিভাগের সিভিল ও ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারকে ঘরটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে সই রয়েছে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। চিকিৎসকদের অন ডিউটি রুম, শৌচাগার ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ।
চিঠির তারিখ ১০ অগস্ট। অর্থাৎ তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পরের দিনই ওই চিঠি লেখা হয়। পরের দিনই কেন সেমিনার হলের কাছের ঘর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আরজি করের আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্যেই ওই ঘর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। যদিও, প্রমাণ লোপাটের বিষয়টি বর্তমানে সিবিআইয়ের তদন্তের উপর নির্ভরশীল।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নৃশংস খুন ও ধর্ষণের পর গত ১৩ অগস্ট তদন্ত ভার পায় সিবিআই। প্রায় ২৩ দিন কেটে গেলেও এখনও আর কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের তরফে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃত সঞ্জয় রায়ের ইতিমধ্যেই পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। তাকে জেরা করা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তদন্তের স্বার্থে আরজি করে একাধিক ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পদাধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখন, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের লেখা এই চিঠি সামনে আসার পর তদন্ত কি নতুন মোড় নেবে? সেটা জানার অপেক্ষাতেই রয়েছেন সকলে।