• সরানো হলো JNM-এর প্রিন্সিপালকে
    এই সময় | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এই সময়, কৃষ্ণনগর: ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনে (এনএমসি) ‘অযোগ্য’ হওয়ার অভিযোগের জেরে সরিয়ে দেওয়া হল কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে। এনএমসি-র নির্দেশে নতুন (অস্থায়ী) অধ্যক্ষ হলেন মণিদীপ পাল। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই অপসারণ-নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে রেজিস্ট্রারের সই করা চিঠিতে।এ দিকে আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়ারা কিন্তু প্রিন্সিপাল সরানোর এই নির্দেশে খুশি হননি। তাঁদের বক্তব্য, ‘প্রিন্সিপালের চেয়ার বদল করা হলো, যাতে দাবি আদায় ইস্যুতে আমাদেরকে দাবিয়ে রাখা যায়।’ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় দ্রুত সুবিচার এবং উপযুক্ত নিরাপত্তা ইত্যাদির দাবি নিয়ে মঙ্গলবার থেকে আবার জোরালো আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবারও সেই আন্দোলন চলে।

    নাম না প্রকাশের শর্তে ডাক্তারির এক ছাত্রনেতা বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য যতক্ষণ না ক্যাম্পাসে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় আশ্বাস দেবেন, ততক্ষণ আমাদের এই আন্দোলন চলবে। তবে নতুন অধ্যক্ষের সঙ্গেও আমরা সহযোগিতা করব।’

    আরও এক ছাত্র নেতা বলেন, ‘অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় পড়ুয়াদের দাবি আদায়ের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনতেন এবং যথেষ্ট আন্তরিক ছিলেন। মঙ্গলবার যখন অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বসে দাবি আদায় আন্দোলন চালাচ্ছিলাম, সেই সময়ে ফাইল দেখিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের চেষ্টার কথা জানিয়েছিলেন অধ্যক্ষ।’

    তিনি জানিয়েছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে অধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যকে ফোনেও ধরেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে বলা হয়, আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সামলাতে না পারলে অধ্যক্ষ যেন পদত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন কথাতে তাঁরা যথেষ্ট মর্মাহত বলেও জানান ছাত্ররা।

    মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপকদের একাংশ অবশ্য খুশি অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে প্রিন্সিপালের পদ থেকে সরানোর পদক্ষেপে। তাঁদের বক্তব্য, অধ্যক্ষ হতে গেলে কমপক্ষে ৫ বছর প্রফেসর থাকতে হয়। সেই মাপকাঠি পূরণ না হলেও ওঁকে অধ্যক্ষ করা হয়েছিল। মেডিক্যাল কলেজের বিদায়ী প্রিন্সিপাল অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সরকারি চাকরি করি। কর্তৃপক্ষের যা আদেশ, তার বাইরে গিয়ে কোনও কথা বলব না।’

    নতুন অধ্যক্ষ ডা. মণিদীপ পাল শুধু বলেন, ‘এনএমসির নিয়ম অনুযায়ী প্রিন্সিপালের পদের জন্য কিছু ক্রাইটেরিয়া থাকে, সেটা বোধ হয় আগের প্রিন্সিপালের ছিল না। যা-ই হোক, আমি চাই, ছাত্র-শিক্ষক-অধ্যাপক-সহকর্মী সবাইকে নিয়ে ভালো ভাবে কাজ করতে। পড়ুয়াদের নিরপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যত তাড়াতাড়ি করা যায়, চেষ্টা করব।’
  • Link to this news (এই সময়)