• আরজি করের সেমিনার রুমের পাশে সংস্কারের অনুমতি দিয়েছিল কে? দেখুন সন্দীপের চিঠি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি করের সেমিনার হলে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল এক তরুণী চিকিৎসককে। আর তারপরই দেখা যায় তড়িঘড়ি আরজি করের সেই সেমিনার হলের পাশে থাকা রুম ভাঙা হচ্ছে। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ হতেই সেই সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল তবে কি প্রমাণ লোপাটের জন্যই দ্রুত সেমিনার রুম সংলগ্ন রুম ভাঙার এত তৎপরতা?

    সেই বিতর্কের মাঝেই এবার সন্দীপ ঘোষের লেখা একটা চিঠি সামনে এসেছে। তিনি পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে ১০ অগস্ট একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারদের রুম ও তার টয়লেট বানানোর কথা বলা হয়। সেখানে লেখা হয়েছিল ডাক্তারদের উপযুক্ত রুম ও টয়লেটের অভাব রয়েছে। একাধিক বিভাগেই এই সমস্যা রয়েছে। রেসিডেন্ট ডক্টরসদের অনুরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য় বলা হয়েছে। সেই চিঠিতেই লেখা হয়েছিল, এই ইস্যুটি স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

    অর্থাৎ সেমিনার রুম সংলগ্ন সংস্কারের ব্য়াপারে আগাম স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল বলে এই চিঠির মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে। তবে অপর একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে চিঠির নীচে একটা নোট দেওয়া হয়েছিল সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল আরজি করে কোথায় কী কাজ হবে সেটা আরজি কর কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করছে।

    তবে এখানেই শেষ নয়, অমিত মালব্য বিজেপির আইটি সেলের প্রধান একটি বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন 'এটা বিস্ফোরক।

    '১০ অগস্ট, ওই মহিলা চিকিৎসক খুন হওয়ার পরের দিনই সন্দীপ ঘোষ সেমিনার রুমের কাছে টয়লেট সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার মানে অপরাধ হওয়ার আগেই এই সংস্কারের কাজ করা হচ্ছিল এটা একেবারে মিথ্যে কথা। আর রাজ্য সরকার, কলকাতা পুলিশ সেই ভাঙাভাঙির ভিডিয়ো যারা শেয়ার করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে।

    কলকাতা পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সমস্ত প্রমাণ লোপাট করার জন্য এইসব কাজ করেছেন। এটা নিয়ে অপরাধের আসল মোটিভ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।

    আমি আবার বলছি, যতক্ষণ না পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও বিনীত গোয়েল পদত্যাগ না করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না। বেশিরভাগ প্রমাণই লোপাট করে দেওয়া হয়েছে। সিএম আর কলকাতা পুলিশের সিপি ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কী কথা বলেছিলেন তা পাবলিক ডোমেনে আনা হোক।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)