• ‘‌পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে পদক ফেরত নেওয়া হোক’‌, রাষ্ট্রপতি–শাহকে চিঠি শুভেন্দু
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তার জেরে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ–আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। কারণ কলকাতা পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। আন্দোলনরত চিকিৎসকরা নগরপালের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। তাঁর ইস্তফার দাবিতে লালবাজার অভিযান করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার বিনীত গোয়েলের পুলিশ পদক ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন রাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর স্পষ্ট দাবি, রাষ্ট্রপতি যে পুলিশ পদক দিয়েছিলেন সেটা ফেরত নেওয়া হোক।

    বুধবার রাতেও চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন। বাড়ির আলো নিভিয়ে মোমবাতি নিয়ে প্রতিবাদে নামেন। অন্ধকারে ঢেকে যায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে রাজভবন। আর পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট–সহ একাধিক অভিযোগ ইতিমধ্যেই তুলে সরব হন‌ শুভেন্দু অধিকারী। যে চিঠি বিরোধী দলনেতা পাঠিয়েছে রাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সেটা এক্স হ্যান্ডেলেও পোস্ট করেছেন। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছ থেকে মেডেল ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন।

    এই বিষয়টি নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আইপিএস হিসেবে দক্ষতা এবং কৃতিত্বের জন্য ২০১৩ সালে ও ২০২৩ সালে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সর্বভারতীয় স্তরে জোড়া সম্মানে ভূষিত করা হয়। ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’ এবং ‘পুলিশ পদক’ পান তিনি। বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন, পুলিশ অফিসার হিসেবে এখন তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন সেটার মর্যাদা রক্ষা করতে পারছেন না। পুলিশ পদক পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন বিনীত গোয়েল। আর তাই তাঁকে দেওয়া সমস্ত পদক ফেরত নিয়ে নেওয়া হোক।

    আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এখন এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর লিখেছেন, ‘আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিন্দনীয় এবং লজ্জাজনক। তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তাঁর ভূমিকায় যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। শাসকের স্বার্থে তদন্তে অন্তর্ঘাতের চেষ্টা করেছেন বিনীত গোয়েল। তাই এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মানের যোগ্য নন তিনি‌। এই কারণে দুটি মেডেলই পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হোক। ওই পদকের নির্দেশিকায় বলা আছে, পদকের প্রাপক অসততার অভিযোগে দোষী হলে বা কাজের ক্ষেত্রে কাপুরুষতার পরিচয় দিলে তাঁর কাছ থেকে ওই পদক প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)