• ‘‌তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা পোড়ানোর প্রতিবাদটাও হোক’‌, গর্জে উঠলেন কুণাল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তার জেরে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ–আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা খবর চাউর হচ্ছে। এই আবহে এবার খাস কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা পোড়ানোর ভিডিয়ো পোস্ট করে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় ‘রাত দখল’ কর্মসূচি পালন হয় বুধবার রাতে। বাড়ির আলো নিভিয়ে রাস্তায় মোমবাতির আলোয় প্রতিবাদ গর্জে ওঠে। যার স্লোগান ছিল—উই ওয়ান্ট জাস্টিস। সেখানেই এমন কাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ। আর তা নিয়েই এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।

    বুধবার রাতেও চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন। বাড়ির আলো নিভিয়ে মোমবাতি নিয়ে প্রতিবাদে নামেন। অন্ধকারে ঢেকে যায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে রাজভবন। আর এই ঘটনার সময় শ্যামবাজারের একটি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পোড়ানো হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা বলে অভিযোগ। পতাকা পোড়ানোর ভিডিয়ো দিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিবাদ করল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই ধরনের পতাকা পোড়ানোর ঘটনা মোটেই কাম্য নয় বলে জানিয়েছে বিজেপিও। ৪ সেপ্টেম্বর আবার রাত দখলের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। সুবিচারের দাবির মাঝেই কেউ কেউ নিজ নিজ স্বার্থ পূরণের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে গর্জে উঠেছেন কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেল এবং ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, শ্যামবাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা পোড়ানো হচ্ছে। কয়েকজন যুবক তা করছেন। আর এই ঘটনা নিয়ে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে কখনও দলের পতাকা পোড়ানো হয় না। আমরাও কখনও পোড়াইনি, এসব সমর্থন করি না। অথচ কাল রাতে শ্যামবাজারে কিছু ছেলে এটা করল। নাগরিকদের আবেগ, প্রতিবাদের সুযোগে অন্য উদ্দেশ্যসাধন চলছে। নাগরিক প্রতিবাদকে সমর্থন। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা পোড়ানোর প্রতিবাদটাও হোক।’‌

    আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এখন এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেখানে এমন ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আর দলীয় পতাকা পোড়ানোর প্রতিবাদ করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকেও। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘আমি এই পতাকা পোড়ানো কোনওভাবেই সমর্থন করি না। আন্দোলনকে বিপথে চালিত করছে কিছু লোকজন। জনসাধারণের আন্দোলনের মাঝে ঢুকে গিয়ে কিছু দুর্বৃত্ত এই কাজ করছে। এই কাজ কোনও অতি বাম লোকজন করছে কিনা, সেটা খোঁজ নেওয়া দরকার। তাদের খুঁজে বের করে চামড়া গুটিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।’‌ কোনও ভিডিয়োই যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)