• দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই মেডিক্যালে হাউসস্টাফ নিয়োগে পুরনো নিয়ম ফিরল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর আবহের মধ্যেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষ। মেডিক্যাল কলেজের হাউসস্টাফ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, সন্দীপ ঘোষের ইশারাতে আরজিকসহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজে হাউসস্টাফ নির্বাচনের সময় দুর্নীতি হয়েছে। সেই আবহে এবার হাউসস্টাফ নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিয়মে বদল করল স্বাস্থ্য ভবন। 

    জানা গিয়েছে , গত এপ্রিল মাসে হাউসস্টাফ নির্বাচনের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম আনা হয়েছিল। তাতে কাউন্সিলিংয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্তরের পাশাপাশি স্থানীয় স্তরে মেডিক্যাল কলেজের হাতে বেশ কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই পুরনো নিয়ম ফিরিয়ে আনল স্বাস্থ্য ভবন। গত বুধবার একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এপ্রিলের নির্দেশ বাতিল করে স্বাস্থ্য দফতর। জানা যাচ্ছে, সাধারণত আগে হাউসস্টাফ নির্বাচন করা হতো কেন্দ্রীয়ভাবে। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে। কিন্তু, সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর সহযোগী গোষ্ঠীর চাপে পড়ে গত এপ্রিলে সেই নিয়ম বদল করা হয়েছিল। তারপরে স্থানীয় স্তরকে কাউন্সিলিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে কাউন্সিলের জন্য প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজকে ১৫ নম্বর দেওয়া হয়। আর সেই নম্বরের ভিত্তিতেই উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকরা পছন্দ মতো জায়গায় কাজের সুযোগ পেতেন।

    এবার পুরনো নিয়ম ফিরিয়ে আনায় সেই সুযোগ আর থাকছে না। কেন্দ্রীয়ভাবে এবার থেকে হাউসস্টাফ নির্বাচন করবে স্বাস্থ্য দফতর। সাধারণত এপ্রিলের আগে পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, হাউস স্টাফ হিসেবে কাজ করতে গেলে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজে আবেদন করতে হতো চিকিৎসকদের। তারপর এমবিবিএস কোর্সের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয়ভাবে ১০০ নম্বরের কাউন্সেলিং হতো। তার ভিত্তিতে হাসপাতালে সুযোগ পান আবেদনকারীরা।

    গত ২৪ এপ্রিলে সেই নিয়ম বদলে যায়। তাতে বলা হয়, কাউন্সেলিংয়ের সময় এমবিএবিএসের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ৮৫ নম্বরের স্কোর কার্ড তৈরি করা হবে। আর বাকি ১৫ শতাংশ নম্বর সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজে হাতে থাকবে। আর সেই সুযোগেই ইন্টারভিউ দুর্নীতি এবং স্বজন পোষণ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)