• মুখে প্লাস্টিক জড়ানো, হাত-পা ভাঙা! সিঁথির অভিজাত আবাসনে উদ্ধার IT কর্মীর দেহ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • মাথায় জড়ানো রয়েছে সাদা প্লাস্টিক। আর সেই প্লাস্টিক আটকানো রয়েছে সেলোটেপ দিয়ে। এমনই অবস্থায় এক তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। সিঁথির একটি অভিজাত আবাসনে নিজের ফ্ল্যাটের নিচ থেকে ওই যুবকের হয়েছে। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই আবাসন থেকেই উদ্ধার হয়েছে এক সাফাইকর্মীর মৃতদেহ। তার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর নাম প্রণব বসু রায়। অন্যদিকে, সাফাই কর্মীর নাম মনোজ কুমার দাস।

    জানা গিয়েছে, যে আবাসন থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার হয়েছে সেই আবাসনের নাম হল বিনায়ক এনক্লাব। এটি বারাকপুর কমিশনারেটের মধ্যে পড়ে। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন।

    জানা যাচ্ছে, বরানগরের অন্যতম বড় আবাসন হল বিনায়ক এনক্লেভ। এই আবাসনে প্রায় দু থেকে আড়াই হাজার বাসিন্দা থাকেন। এই আবাসনের ৪ নম্বর ব্লকের চারতলায় ৩০২ নম্বর ফ্ল্যাটে পরিবারের সঙ্গে প্রণব বাবু থাকতেন। তার বাবা পুলক বসু রায় একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। প্রণব বাবু বিবাহিত ছিলেন। তার বাড়িতে বাবা মা ছাড়াও স্ত্রী এবং পুত্র সন্তান রয়েছে। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে এক আবাসিক ওই তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর জানানো হয় পরিবারের সদস্যদের। খবর পেয়ে পুলিশও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বরাহনগর থানার পুলিশ সূত্রের খবর, চার নম্বর ব্লকের পাশে এই ব্লকে দু নম্বর গেটের সামনে তার মৃতদেহ পড়েছিল। তবে শুধু তার মাথা যে সাদা প্লাস্টিক দিয়ে জড়ানো ছিল তাই নয়, তার হাত পা ও ভেঙে গিয়েছিল। তবে বাইরে থেকে শরীর আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল না। 

     এই ঘটনার পরে পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখতে শুরু করে। তবে বহু ক্যামেরা খারাপ থাকায় সেরকম কোনও ফুটেজ পায়নি পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অন্যান্য ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে ওই যুবকের হাতে জলের বোতল ছিল। তিনি হাফ প্যান্ট এবং হলুদ গেঞ্জি পড়েছিলেন। রাত ৮ টার দিকে তিনি বেরিয়েছিলেন। তবে এতক্ষণ ধরে তিনি কোথায় ছিলেন? তাই নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার পরে এ দিন আবাসনে সাফাইয়ের কাজে এসেছিলেন মনোজকুমার। কমিউনিটি হল পরিষ্কার করার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। যদি এক্ষেত্রে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)