আজকাল ওয়েবডেস্ক: অশান্ত পরিস্থিতিতে এক টুকরো স্বাধীনতা। এক টুকরো খোলা আকাশ। নাম তাই 'অমল আলো'। থিয়েটার জগতের এক আশ্রয়ের নাম।
করোনার ধাক্কায় যখন সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন থিয়েটার বাঁচাতে শীলা চক্রবর্তী ২০২০ সালে জমি দিয়েছিলেন। বড় ছোট মিলিয়ে প্রায় আড়াইশো নাটক এখানে ইতিমধ্যেই প্রযোজনা হয়ে গেছে। তখন অবশ্য চেহারাটা ছিল দরমার বেড়ায় মোড়ানো।
বর্তমানে সেই 'অমল আলো' নতুন করে তৈরি হল গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪। এর জন্য উত্তর চব্বিশ পরগণার জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর উন্নয়ন তহবিল থেকে ৫ লাখ টাকা অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। প্রায় কুড়ি ফিট উঁচু এবং পঁচিশ ফিট চওড়া এই ভবন।
এ বছর রজতজয়ন্তী বর্ষ ছিল এই দলের। মাননীয় মন্ত্রী শ্রী ব্রাত্য বসু আসতে না পারলেও একটি ভিডিও বার্তাতে জানিয়েছেন, ‘পঁচিশের অট্টহাসি একদিনের নয়। অনেক দুঃখ কষ্ট অভাবে এতগুলো বছর থিয়েটারে বেঁচে থাকা শুধু কথার কথা নয়! ভালো মানের প্রযোজনা উপহার হিসেবে "নেমেসিস", "রাত বিরেতের রক্তপিশাচ", "আমি অনুকূলদা আর ওরা", "মিস্টার রাইট", "ভেমুলার রামায়ণ", "গান্ধারী", "লোহার দাম" সহ "শেক্সপিয়ার মাস্ট ডাই" মঞ্চস্থ করেছে এই দল।‘
নাট্যমুখে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছেন, ভারতীয় থিয়েটারের প্রবীণ নাট্যজন শ্রী শমীক বন্দ্যোপাধায়। তাঁর কথায়, 'যেখানে অনেক স্বাধীনতা, মুক্ত আলো, এমন খোলা পরিবেশে ভারতীয় সব ধরনের থিয়েটার সম্ভব। এদিনের অনুষ্ঠানে, পঁচিশের স্পেশাল কাপ ও উত্তরীয় পড়িয়ে সম্মান জানানো হয় মনোজ ঘোষ, শান্তনু দাস, উদ্দালক ভট্টাচার্য, দেবব্রত ব্যানার্জি, পূজা কুণ্ডু, সমীর চক্রবর্তী, মিতা হাওলাদার, অঙ্কিতা ব্যানার্জি সহ আরও অনেককে।'
এই বছর নতুন নাটক ‘আবার বাঞ্ছা’ নামছে। নামছে আরও একটি নাটক ইন্দ্ররঙ্গ প্রযোজনায় অভি চক্রবর্তীর নির্দেশনায় ও ব্রাত্য বসুর লেখা ‘বাদা’। সব শেষে পঁচিশের কেক কেটে সমাপ্তি ঘোষণা করেন আহ্বায়ক অরূপ গোস্বামী ও সংগীতা চক্রবর্তী।