• নবান্নে পর্যালোচনা বৈঠক ডাকলেন মমতা, আরজি কর নিয়ে বিরাট চাপে তৃণমূল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড়। একের পর এক ক্ষেত্রে অস্বস্তিতে পড়ছে রাজ্য সরকার। রাস্তায় বেরিয়ে আসছেন সাধারণ মানুষ। সরকারের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিচ্ছে আন্দোলন। সেই পরিস্থিতির মধ্য়ে এবার নবান্নে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক ডাকলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 

    এই বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত দফতরের কর্তাদের উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এই বৈঠক হবে। ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টায় এই বৈঠক হবে। এই বৈঠকে যাতে সমস্ত দফতরের মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত থাকেন সেব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে যেদিন এই বৈঠক হবে তার পরের দিনই অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। 

    গত ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল। তারপর থেকে এই ধরনের পর্যালোচনা বৈঠক আর হয়নি। এবার সেই গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠকের ডাক। 

    এদিকে এই বৈঠককে ঘিরে ইতিমধ্য়েই নানা মহলের উৎসাহ তৈরি হয়েছে। সেখানে শেষ পর্যন্ত কী ধরনের আলোচনা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তরফে কী ধরনের নির্দেশ আসে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে। 

    মূলত দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা হল স্বাস্থ্য দফতর। আর দ্বিতীয়টি হল পুলিশ বিভাগ। আর দুটি দফতরই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাতে। সেক্ষেত্রে এই দফতরের ভূমিকা নিয়ে যখন প্রশ্ন তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে কী বক্তব্য রাখেন সেটাই এবার দেখার। 

    তবে আরজি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে যেভাবে জনতার রোষ আছড়ে পড়ছে তাতে ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে সরকারের। রাস্তায় বেরিয়ে আসছেন সাধারণ মানুষ। রাস্তায় বেরিয়ে আসছেন চিকিৎসকরা । রাস্তায় বেরিয়ে আসছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। অনেকেই পুরস্কার ফিরিয়ে দিতে চাইছেন। 

    ইতিমধ্যে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ, জুনিয়র চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যে মুখ্য়মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। 

    সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছিলেন, ‘‌পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি পদত্যাগ করুন। কারণ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আপনি স্বীকার করেছেন বাংলায় রাতে কর্মরত মহিলারা সুরক্ষিত নয়।’‌ এরসঙ্গেই তিনি লিখেছেন, , ‘‌রাতে মহিলা রোগীদের কারা দেখবেন?‌ তাদের নিরাপত্তার কী হবে?‌ এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হল আপনি পদত্যাগ করুন এবং একজন দক্ষ প্রশাসকের জন্য পথ তৈরি করুন।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)