• রামপুরহাটে ‘অভয়া ক্লিনিক’, অভীকের নামে পড়ল পোস্টার
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: বিনামূল্য চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বৃহস্পতিবার ‘অভয়া ক্লিনিক’ চালু করল রামপুরহাট মেডিক্যালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিন রামপুরহাট শহরের পাঁচামাথা মোড়ে এই ক্লিনিক চলে। অন্যদিকে আরজি করের প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভীক দের ছবি সহ নিখোঁজের পোস্টার সাঁটানো হয় হাসপাতালের দেওয়ালে। পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে রামপুরহাট মেডিক্যালের অধ্যক্ষ করবী বড়ালের একটি ছবিও সামনে আনে জুনিয়র চিকিৎসকরা।

    প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনায় রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি আন্দোলনে নামে রামপুরহাট মেডিক্যালের চিকিৎসকরা। টানা কর্মবিরতির পাশাপাশি বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। বর্তমানে তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও আন্দোলন জারি রেখেছে। এবার আন্দোলনের অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে ‘অভয়া ক্লিনিক’ চালু করা হল। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক শাহবাজ শেখ জানান, এদিন তাঁরা প্রায় ৩৫০জন রোগী দেখেছেন। সেই সঙ্গে বিনামূল্যে ওষুধও সরবরাহ করেছেন। ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে এমন রোগীকে রামপুরহাট মেডিক্যালে রেফার করেছেন। তাঁরা এই ক্লিনিক চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। 

    এদিকে এদিন মেডিক্যালের দেওয়ালে অভীক দের ছবি সহ নিখোঁজ পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। এপ্রসঙ্গে শাহবাজ শেখ বলেন, আরজি করের ক্রাইম সিনে এই অভীক দে-কে পাওয়া গিয়েছে। এই কলেজের থ্রেট কালচারের মূলে ছিলেন তিনি। এই কলেজকে তিনিই কন্ট্রোল করতেন। ওঁর একজন সাগরেদ আছে যার বাড়ি দুবরাজপুরে। মালদা মেডিক্যাল থেকে পাশ করে কিছুদিনের জন্য আমাদের কলেজে হাউজস্টাফ ছিলেন। বিভিন্ন সেমিনার বা অনুষ্ঠান হলেই অভীক দে হাজির হতো। অধ্যক্ষর সঙ্গে তাঁর ছবিও রয়েছে। প্রত্যেকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত ছিল। সেখানে নানা কমেন্ট করতেন। ফোনের মাধ্যমে এই কলেজ চালাত। বুধবার আমরা সরব হওয়ার আগে অভীককে গ্রুপ থেকে রিমুভ করা হয়েছে। জুনিয়রদের অভিযোগ, কলেজের অধ্যক্ষ থেকে পূর্বতন ডিন স্বরূপ সাহা ভিডিও কনফারেন্সে অভীক দে-কে রাখতেন।

    প্রসঙ্গত, বুধবার কলেজ কাউন্সিলের মিটিংয়ে থ্রেট কালচার নিয়ে সরব হন জুনিয়ররা। এরপরই স্বরূপ সাহাকে ডিনের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও বুধবারই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বরূপ সাহা। অন্যদিকে একাধিক অভিযোগে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    এদিকে জুনিয়ররা চিকিৎসকরা বলেন, থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত মেদিনীপুর মেডিক্যালের এক ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যারা এই থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের প্রশংসা করেছেন আমাদের অধ্যক্ষ। সেই চ্যাটও ভাইরাল হয়েছে।

    যদিও অধ্যক্ষ করবী বড়াল বলেন, অভীক দের সঙ্গে এই মেডিক্যালের পডুয়াদেরও পরিচয় ছিল। একটা গ্রুপেই আমরা ছিলাম। তখন তো তাঁর হুমকির বিষয়টি জুনিয়র চিকিৎসকরা আমাকে বলেননি। আরজিকরের ঘটনা সকলের চোখ খুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দু’টি প্রোগামে অভীক দে এসেছিলেন। সেমিনারের হলে আমার সঙ্গে তাঁর ছবি যারা দেখাচ্ছে, অভীক দের সঙ্গে সেই ছাত্রদেরও ছবি রয়েছে। এখন অভীক দের চরিত্র সামনে এসেছে। সবাই তাঁকে বয়কট করছে। আমিও বয়কট করেছি।
  • Link to this news (বর্তমান)