• নন্দীগ্রামের পর হলদিয়া পঞ্চায়েতে বেসামাল পদ্ম
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হলদিয়া: হলদিয়ার বিজেপি পরিচালিত বাড়উত্তরহিংলি গ্রাম পঞ্চায়েতে অফিসের মধ্যেই মারপিটে জড়াল প্রধান ও উপপ্রধানের দুই গোষ্ঠী। পঞ্চায়েত অফিসের পাশের একটি বুথে কংক্রিটের রাস্তা মেরামতের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরেই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। হলদিয়া ব্লকের বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চন্দন সামন্ত হঠাৎ অফিসে ঢুকে সরকারি কর্মীদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় মহিলা উপপ্রধান বাধা দিতে গিয়ে ওই বিজেপি নেতার হাতে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চন্দনবাবু প্রধান গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত। এরপরই উপপ্রধান গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরা এসে চন্দনকে ঘেরাও করেন। পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে বিজেপির নেতাদের ধস্তাধস্তি, মারপিট দেখে ঘাবড়ে যান লোকজন। বুধবার বিকেলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায় পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে। চন্দনকে তুলে নিয়ে গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘরের মধ্যে আটকে রাখে বিজেপির অন্য গোষ্ঠী। পরে পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় বিজেপির প্রধান সঙ্গীতা মেহতা দাস ও উপপ্রধান মানসী মাইতি দু’জনেই ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে, বিজেপির ওই নেতার বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত অফিসের কর্মীরাও বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

    বাড়উত্তরহিংলি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের পাশে বাড়সুন্দরা থেকে বসানচক পর্যন্ত একটি কংক্রিটের রাস্তা সংস্কারের কাজের গুণমান নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিজেপি নেতা চন্দন সামন্তের দাবি, স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে কয়েক মাস আগে গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় ঠিকাদারের দুর্নীতি নিয়ে সরব হই। তিনি বলেন, নিম্নমানের কাজ করার পরও ওই ঠিকাদারকে পেমেন্ট করা হয়েছে। এই খবর পেয়ে পঞ্চায়েত অফিসে যাই। এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সচিবের কাছে এবিষয়ে জানতে চাই এবং সাধারণ সভার রেজলিউশন চাই। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর পাইনি। তাঁর অভিযোগ, ওই সময় উপপ্রধানের গোষ্ঠীর লোকজন এসে তাঁকে মারধর করেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে গিয়ে তিনি দলের লোকজনের কাছেই আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিজেপি নেতা চন্দনের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর দলেরই উপপ্রধান মানসী মাইতি এবং পঞ্চায়েত অফিসের সরকারি কর্মীরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)