• সাসপেন্ড হলেন নবান্ন অভিযানে যাওয়া কাঁকসা বিডিও অফিসের গ্রুপ-ডি কর্মী
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানকর: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানে গিয়েছিলেন কাঁকসা বিডিও অফিসের গ্রুপ-ডি কর্মী শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। মলানদিঘির বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল হাওড়া পুলিস। পরে জামিনে মুক্ত হন তিনি। বৃহস্পতিবার বিডিও অফিসে কাজে যোগ দিতে এলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে চিঠি ধরানো হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসে গরহাজিরার জন্য এর আগে তাঁকে শোকজও করা হয়েছিল। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কনভেনার ভাস্কর ঘোষ বলেন, এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

    গত ২৭আগস্ট ছাত্রসমাজের ব্যানারে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। অভিযানকে বাইরে থেকে সমর্থন করেছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। হাওড়া ময়দানের কাছে পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে যৌথ মঞ্চের সদস্যরা এগনোর চেষ্টা করলে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় শুভঙ্করকে গ্রেপ্তার করে হাওড়া থানার পুলিস। হাওড়া আদালত তাঁকে পুলিসি হেফাজতের নির্দেশও দিয়েছিল। গ্রেপ্তারের পরই শুভঙ্কর অনশন শুরু করেছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার ধৃতদের হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক শুভঙ্কর সহ ২৩ জনকে জামিন দেন। সোমবার জামিনে মুক্তির পর মঙ্গলবার বিডিও অফিসে কাজে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দিতে এলে তাঁকে সাসপেন্ড করার চিঠি দেওয়া হয়। শুভঙ্কর বলেন, গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে কোথাও দেখা যায়নি আমি কারও গায়ে হাত দিয়েছি। সাসপেন্ডের চিঠি আমি গ্রহণ করেছি। আইনি পদক্ষেপ নেব। 

    বিজেপি নেতা রমন শর্মা বলেন, এই সরকার স্বৈরাচারী। বিরোধিতা করলে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হয়। প্রমাণ শুভঙ্কর। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা নবকুমার সামন্ত বলেন, স্বৈরাচারী বলার অধিকার বিজেপির নেই। প্রশাসন নিয়ম মেনেই চলছে। দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি জানা নেই। • সাসপেন্ড গ্রুপ ডি কর্মী। -নিজস্ব চিত্র 
  • Link to this news (বর্তমান)