• জলপাইগুড়িতে খাবারের মান যাচাইয়ে অভিযান
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: রাস্তার পাশে গজিয়ে উঠছে বহু খাবারের দোকান। সেসব দোকানের খাবারের মান কেমন? তা খতিয়ে দেখতেই বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা এলাকায় অভিযান চালান ফুড সেফটি দপ্তরের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকও। দোকানগুলিতে হানা দিয়ে খাদ্যসুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা ফুড লাইসেন্স দেখতে চান। কিন্তু অনেকেই তা দেখাতে পারেননি। কারও আবার ফুড লাইসেন্স থাকলেও তা ডিসপ্লে করা ছিল না। দোকানদারদের সতর্ক করে দেন ফুড সেফটি আধিকারিকরা। একইসঙ্গে খাবারের দোকানের পরিচ্ছন্নতা নিয়েও আধিকারিকরা যথেষ্টই উষ্মা প্রকাশ করেন। 

    জলপাইগুড়ির ফুড সেফটি অফিসার মীনাক্ষী খাডকা বলেন, এদিন কদমতলা এলাকায় আমরা সাতটি খাবারের দোকানে হানা দিই। তাদের ট্রেড লাইসেন্স, ফুড লাইসেন্স আছে কি না দেখতে চাওয়া হয়। কোনও দোকানেই ফুড লাইসেন্স ডিসপ্লে করা ছিল না। তিনজন ফুড লাইসেন্স দেখাতে পেরেছেন। বাকিরা পারেননি। তাঁদের শুক্রবার অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে। দোকানের ভিতরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে দোকানদারদের। তাঁরা এ ব্যাপারে সজাগ না হলে এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এদিন শহরে একটি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হলেও হানা দেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। অভিযোগ, সেখানে খাবারের বিলের জন্য ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর দিতে বাধ্য করা হয়। ক্রেতাসুরক্ষা দপ্তরের জলপাইগুড়ির সহ অধিকর্তা দেবাশিস মণ্ডল বলেন, টেলিকম আইন অনুযায়ী খাবার কেনার পর বিল করার জন্য গ্রাহককে মোবাইল নম্বর দিতে বাধ্য করা যায় না। কেন বাধ্য করা হচ্ছে, তার উত্তর চাওয়া হয়েছে। এদিন ম্যানেজার ছিলেন না। কর্তৃপক্ষকে দ্রুত উত্তর দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)